মাহবুবাকে বিধবা করে বৃদ্ধ স্বামী পরলোকগমন করে। অপর একজন নারী সাহলিকা। কিন্তু সাহলিকাকেও গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয় নুরুল হুদা। যদিও সাহলিকাও নুরুল হুদার প্রতি আসক্ত ছিল। সাহলিকা শিক্ষিতা এক নারী-সংসারে আবদ্ধ হতে সেও পারেনি। তার চরিত্রেও একটা উদাসীনতা ক্রিয়াশীল ছিল। এদিকে মাহবুবাও সংসারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ এবং শেষ জীবন মক্কা মদিনায়...
আরো পড়ুন
মাহবুবাকে বিধবা করে বৃদ্ধ স্বামী পরলোকগমন করে। অপর একজন নারী সাহলিকা। কিন্তু সাহলিকাকেও গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয় নুরুল হুদা। যদিও সাহলিকাও নুরুল হুদার প্রতি আসক্ত ছিল। সাহলিকা শিক্ষিতা এক নারী-সংসারে আবদ্ধ হতে সেও পারেনি। তার চরিত্রেও একটা উদাসীনতা ক্রিয়াশীল ছিল। এদিকে মাহবুবাও সংসারের প্রতি বীতশ্রদ্ধ এবং শেষ জীবন মক্কা মদিনায় অতিবাহিত করবে বলে স্থির করে।
বস্তুতঃ নুরুলহুদার চরিত্র যেন নজরুলেরই প্রতিচ্ছবি একথা পাঠক মাত্রেই বুঝতে পারে। কবি কল্পনা ও রোমান্টিকতার চরম প্রকাশ ঘটেছে নূরুল হুদার কথাবার্তায় তার উক্তিতে তার আচার আচরণে। নূরুল হুদার অন্তরের ক্ষোভ যন্ত্রণা আকুল পিপাসা তাকে প্রায় উন্মাদ করে তুলেছে।
রাবেয়াকে লিখিত চিঠিতে আছে- নূরুল হুদার এমনি উক্তি- "আমি চাচ্ছিলাম-আগুণ শুধু আগুন-সারা বিশ্বের আকাশে বাতাসে বাইরে ভিতরে আগুণ। আর তার মাঝে আমি দাঁড়াই আমার ঐ বিশ্বাগ্রাসী অন্তরের আগুণ নিয়ে আর দেখি কোন আগুণ কোন আত্মাকে গ্রাস করে নিতে পারে। ... মানুষেরই দুঃখ দেখে সময় সময় আমার বুক সাহারার মত আর্তনাদ করে উঠে। 'বাঁধনহারা' উপন্যাস আত্মজৈবনিক উপন্যাসের আদলেই রচিত।
কম দেখান