সময় প্রভাতীর শেষ ভাগ। রইসুজ্জামান গম্ভীর মুখশ্রীতে বসে আছেন চেয়ারে। তার পাশে বসা আরো দশ থেকে বারোজন পুরুষ। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তার কণ্ঠনালি থেকে বের হওয়া স্বরের, ‘আমি খুবই অবাক হচ্ছি। আমাদের নোয়াপাড়ায় কী এমন হচ্ছে বুঝেই আসছে না। এমতাবস্থায় ফুলগঞ্জে যাওয়া কী ঠিক হবে?’
‘খোদেজা মইরা গেছে, দিয়া।...
আরো পড়ুন
সময় প্রভাতীর শেষ ভাগ। রইসুজ্জামান গম্ভীর মুখশ্রীতে বসে আছেন চেয়ারে। তার পাশে বসা আরো দশ থেকে বারোজন পুরুষ। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তার কণ্ঠনালি থেকে বের হওয়া স্বরের, ‘আমি খুবই অবাক হচ্ছি। আমাদের নোয়াপাড়ায় কী এমন হচ্ছে বুঝেই আসছে না। এমতাবস্থায় ফুলগঞ্জে যাওয়া কী ঠিক হবে?’
‘খোদেজা মইরা গেছে, দিয়া। ঘরের মইধ্যে ফাঁস লইয়া মইরা গেছে। আহারে মাইয়াডা কত সুন্দর ছিল, কেন মরতে গেল!’ হাজেরা বিবির আর্তনাদে প্রকম্পিত হয়ে উঠল আকাশ বাতাস। কিন্তু এই এক খাদিজাই কি শেষ? জমিদার ভিটেই আরও যে তিনিটে লাশ ঘুমিয়ে আছে তাদের কথা দুনিয়াবাসীকে কে জানান দিবে? একে একে মরতে মরতে থাকে মানুষজন। কেমন যেন এক অভিশাপনগরীতে পরিণত হয় নোয়াপাড়া! স্পষ্টই প্রতিটি মৃত্যু পুলিশি কেস হওয়া সত্ত্বেও কোনোরকম এভিডেন্স না থাকায় প্রতিটি মামলা থেকে যায় আনসলভড! কি হয়েছিল মূলত নোয়াপাড়ায়? কোন বিভীষিকা নেমে এসেছিল নোয়াপাড়াবাসীর উপর? জমিদারবাড়ির পুরোনো ভিটেই কী এমন রহস্য লুকিয়ে? জানতে আপনাকে পড়তে হবে ‘সময়রেখা’! শব্দের ভাঁজে ভাঁজে এক রোমাঞ্চকর উপাখ্যান আপনার স্পর্শের অপেক্ষায়।
কম দেখান