আজ সকাল থেকেই লিলির সঙ্গে একটার পর একটা অঘটন ঘটছে।
রান্নার সময়ে ভাতের গরম মাড় পড়ে গেল তার হাতে। বাঁ-হাতে ঠোসা পড়ে একাকার।
পাশের বাড়ি থেকে খাবার পানি আনতে গিয়ে আরেক অঘটন ঘটল।
টিউবওয়েলে দুটো চাপ দিতেই টিউবওয়েলের ওয়াসার ছিঁড়ে গেল।
বজলু বুড়োর বউ চেঁচামেচি শুরু করলেন।
-এতই যখন কলের পানি খাওয়ার শখ। তোর বাপেরে...
আরো পড়ুন
আজ সকাল থেকেই লিলির সঙ্গে একটার পর একটা অঘটন ঘটছে।
রান্নার সময়ে ভাতের গরম মাড় পড়ে গেল তার হাতে। বাঁ-হাতে ঠোসা পড়ে একাকার।
পাশের বাড়ি থেকে খাবার পানি আনতে গিয়ে আরেক অঘটন ঘটল।
টিউবওয়েলে দুটো চাপ দিতেই টিউবওয়েলের ওয়াসার ছিঁড়ে গেল।
বজলু বুড়োর বউ চেঁচামেচি শুরু করলেন।
-এতই যখন কলের পানি খাওয়ার শখ। তোর বাপেরে বল্, কল বসাইতে। নাইলে পুকুরের পানি খা। পুকুরের পানি খাইলে তো কেউ মরে না।
দুপুরে ভাত খেতে বসে লিলি দেখল, ভাত শেষ।
দুপুরবেলাটা লিলি না খেয়েই থাকল।
বিকেলবেলা পোস্টম্যান চাচা এলেন।
লিলির নামে চিঠি এসেছে। রেজিস্ট্রি করা সাদা খামের চিঠি।
খামের কোনায় লেখা, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।
খাম খুলে লিলি অবাক।
এটা তার অ্যাপয়েন্টমেন্টের চিঠি।
চিঠিটা পড়তে গিয়ে লিলি হাউমাউ করে কেঁদে ফেলল।
পোস্টম্যান চাচা অবাক হয়ে বললেন,
-কানতেছ কেন মা?
-আমার চাকরি হয়েছে চাচা।
চাচা, যাবার পথে চেয়ারম্যান বাড়িতে একটু খবর দিতে পারবেন বাবাকে? আমি যেতে পারব না চাচা। আনন্দে আমার হাত-পা জমে গেছে।
কম দেখান