সুশীল খানদানি বংশের সন্তান, পড়ন্ত অমিদারির উত্তরাধিকারী। কালের গর্ভে সেই জমিদারি অনেকটাই অবলুপ্ত, যা অবশিষ্ট আছে তা নেহায়েত ফাঁপা ঢাকের মতো। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পায়ের ওপর পা তুলে খেতে খেতে একসময় 'জমিদারি' শব্দটাই ব্যঙ্গ করতে শুরু করে। হালচাল যখন এরূপ, তখন টনক নড়ে সুশীলের। ভাগ্য ফেরাতে কলকাতা শহরে মামার বাসায়...
আরো পড়ুন
সুশীল খানদানি বংশের সন্তান, পড়ন্ত অমিদারির উত্তরাধিকারী। কালের গর্ভে সেই জমিদারি অনেকটাই অবলুপ্ত, যা অবশিষ্ট আছে তা নেহায়েত ফাঁপা ঢাকের মতো। প্রজন্মের পর প্রজন্ম পায়ের ওপর পা তুলে খেতে খেতে একসময় 'জমিদারি' শব্দটাই ব্যঙ্গ করতে শুরু করে। হালচাল যখন এরূপ, তখন টনক নড়ে সুশীলের। ভাগ্য ফেরাতে কলকাতা শহরে মামার বাসায় ওঠে বেকার সুশীল। সনৎ তার মামাতো ভাই, খুব ন্যাওটা। আমাতুল্লা জাহাজের খালাসি। গড়ের মাঠে উদাসভাবে বসে থাকা সুশীলের সাথে একদিন আকস্মিকভাবে পরিচয় হয় আমাতুল্লার।
সে বর্ণনা করে তার এক রোমাঞ্চকর সমুদ্রযাত্রার, যেখানে নাম না জানা এক দ্বীপে সে আবিষ্কার করে বসে প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতার ভগ্নাংশ। জামাতুল্লার দেখানো অদ্ভুত চিত্র আঁকা সিলমোহর আর কিছু মানচিত্র এবং একজন ঐতিহাসিক কর্তৃক তার রহস্যময় বর্ণনা সাহসী সুশীলকে হাতছানি দিতে থাকে অ্যাডভেঞ্চারের। প্রাচীন সভ্যতা আর তার গুপ্তভাণ্ডার আবিষ্কাবের নেশায় ভাই সনৎ, আমাতুল্লা এবং বোম্বেটে নাবিক ইয়ার হোসেনকে নিয়ে সে বেরিয়ে পড়ে সমুদ্রযাত্রায়। মালয়, সুমাত্রা পেরিয়ে তারা পৌঁছায় ভারত মহাসাগরে ডাচ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বন্যপ্রাণীতে পরিপূর্ণ এক অনহীন দ্বীপে। সেখানে তারা আবিষ্কার করে প্রাচীন হিন্দু রাজ্যের রাজধানী এক প্রাচীন রাজপ্রাসাদ-চারপাশে তার খাল কাটা, সেখানে বিচরণ করে ভীষণদর্শন কুমির;
বিকট প্রস্তরমূর্তি যেন জানান দেয় অশুভের।
তারা জানে, এর মধ্যেই রক্ষিত আছে এই সভ্যতার ধনসম্পদ, কিন্তু প্রত্যেক পদে পদে তাদের জন্য পাতা রয়েছে মৃত্যুফাঁদ, ভয়ংকর বিপদের আমন্ত্রণ।
কম দেখান