এশার নামাজ শেষে করার তেমন কিছুই ছিল না কারো। ভাত খেয়ে শুয়ে পড়া। মসজিদ থেকে ফিরে এসে আসগর আলী সোজা ঘরের পিছনে গোয়াল ঘরে চলে গেল- সেখানেই তার জন্য অপেক্ষা করছিল পাশের বাড়ির রহমত। আকাশটা দুপুর থেকেই মেঘলা ছিল, তবে বর্ষা হয়নি এক ফোঁটা, আর তাই এই ভেজা ভেজা গরম...
আরো পড়ুন
এশার নামাজ শেষে করার তেমন কিছুই ছিল না কারো। ভাত খেয়ে শুয়ে পড়া। মসজিদ থেকে ফিরে এসে আসগর আলী সোজা ঘরের পিছনে গোয়াল ঘরে চলে গেল- সেখানেই তার জন্য অপেক্ষা করছিল পাশের বাড়ির রহমত। আকাশটা দুপুর থেকেই মেঘলা ছিল, তবে বর্ষা হয়নি এক ফোঁটা, আর তাই এই ভেজা ভেজা গরম বাতাসে ঝন ঝন করছিল অসংখ্য মশা।
রহমত ব্যবস্থা করে রেখেছিল আগে থেকেই- তুষের ঘন কম্বল সদৃশ্য ধোঁয়ায় মশারা দূরে সরে যেতে বাধ্য হলো। আসগর আলী আরাম করে বসে পান বের করল।
-হ্যাঁ, তোমার বউডার কি অবস্থা, রহমত?
-এই তো ডেলিবারি হবার কতা। পোলা অইলেই বালা। এক মাইয়া লইয়া যে যন্ত্রণায় আছি.... খায় না দায় না, মুখে এক কতা-বাজান আমারে চুড়ি আইনা দাও, চুড়ি আইনা দাও...
-হে হে-আসগর আলী হাসল তয় দিতা। দিলে কি অইতো?
-জ়ে না, বড়ো ভাই, মাইয়া মাইনষরে শাসনের দরকার আছে। আইজ হেরে দিমু চুড়ি। কাইল কইব- বাজান, আমি ওই পাড়ার কবিররে নিকা করব। তহন?
-কবির? এত থাকতে হঠাৎ কবির ক্যাঁ?
-হেই পোলা মাঝে মধ্যেই সালমারে খারাপ চোখে দেহে... আমি কি আন্ধা নি? ডর করে কবে না কি হয়... মেম্বারের পোলায় যদি আমগো মতন লোকের মাইয়ার দিকে নজর দেয়, তয় কাম সারছে... কেডা বাঁচাইবো? যেডা কইছিলাম, পোলাই বালা।
আসগর আলী কিছু বলল না। পাকের ঘর থেকে ডালের গন্ধ আসছিল।
অন্ধকারে রহমতের শুধু চোখ দুটো জ্বলছিল।
-বড়ো ভাই, তোমার পোলা সিদ্দিক নাকি পার্টি করে? হেদিন মাতবর সাব কইছিল...
কম দেখান