মেজর রেনেলের অষ্টাদশ শতাব্দীর ভারতবর্ষের মানচিত্রে সলপ তো দূরের কথা, সিরাজগঞ্জও জনহীন এক বিন্দু। সেখানে তখনো ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, হুরা সাগর, বড়াল আর ফুলজোড় নদীর লাগাতার ভাঙাগড়া। অথচ বিন্দুই ঊনবিংশ শতাব্দীতে হয়ে ওঠে কলকাতার ঠাকুর, ঢাকার ব্যানার্জী আর সলপের সান্যালসহ পাঁচটি বিখ্যাত জমিদার পরিবারের ক্ষমতার লড়াইয়ের কেন্দ্র। হয়ে ওঠে পুরো ব্রিটিশরাজের...
আরো পড়ুন
মেজর রেনেলের অষ্টাদশ শতাব্দীর ভারতবর্ষের মানচিত্রে সলপ তো দূরের কথা, সিরাজগঞ্জও জনহীন এক বিন্দু। সেখানে তখনো ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, হুরা সাগর, বড়াল আর ফুলজোড় নদীর লাগাতার ভাঙাগড়া। অথচ বিন্দুই ঊনবিংশ শতাব্দীতে হয়ে ওঠে কলকাতার ঠাকুর, ঢাকার ব্যানার্জী আর সলপের সান্যালসহ পাঁচটি বিখ্যাত জমিদার পরিবারের ক্ষমতার লড়াইয়ের কেন্দ্র। হয়ে ওঠে পুরো ব্রিটিশরাজের মনোযোগের মূল বিন্দু।
ইতিহাসের সেই বাঁক ঘোরানো কালপর্বে সংঘটিত আলোচিত সিরাজগঞ্জ কৃষক বিদ্রোহ নিয়ে এই প্রথম লেখা হলো কোনো উপন্যাস। শঙ্খগহন সলপকাল হয়ে উঠেছে বাংলা কথাসাহিত্যে ঊনবিংশ শতাব্দীর পূর্ব বাংলার মানুষের প্রাত্যহিক জীবনযাপনের প্রথম কথকতা। আর সেই কথকতার অবলোকনের চোখটিও পূর্ব বাংলার বা বাংলাদেশের।
আপাতদৃষ্টিতে এ কাহিনি আবর্তিত হয়েছে সলপের আলোচিত সান্যাল পরিবারকে ঘিরে, কিন্তু মূলত তা নতুন সামাজিক শক্তির উত্থানের ধারাপাত। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এ উপন্যাস লেখা হয়েছে বটে, তবুও তা ঐতিহাসিক নয়; বাস্তবকে ভেঙে এতে লেখক যে রক্তমাংস যুক্ত করেছেন তাতে অতীত উজ্জ্বলতা পেয়েছে বর্তমানের শিল্পালোকে।
কম দেখান