রাজা পাথরের ঠিক পাশেই নিখোঁজ হওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাবলু শিকদারের লাশটা ভেসে ওঠে। ক্রাইত পালিয়ে যাবে ভাবে। পাহাড় থেকে অন্ধকার নেমে আসছে নিচে পিশাচের মতো। অন্ধকারের শরীর পেঁচিয়ে ধরেছে শীত। কাঁপুনি ধরে। ক্রাইত ঠকঠক করে কাঁপে। শীতে, না ভয়ে, বোঝা যায় না! সাঙ্গু নদীর বুকের ভেতর থাকা সবচেয়ে বড়ো...
আরো পড়ুন
রাজা পাথরের ঠিক পাশেই নিখোঁজ হওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য বাবলু শিকদারের লাশটা ভেসে ওঠে। ক্রাইত পালিয়ে যাবে ভাবে। পাহাড় থেকে অন্ধকার নেমে আসছে নিচে পিশাচের মতো। অন্ধকারের শরীর পেঁচিয়ে ধরেছে শীত। কাঁপুনি ধরে। ক্রাইত ঠকঠক করে কাঁপে। শীতে, না ভয়ে, বোঝা যায় না! সাঙ্গু নদীর বুকের ভেতর থাকা সবচেয়ে বড়ো পাথর হিসেবে পরিচিত রাজা পাথরটার পাশে থ মেরে বসে থাকে ক্রাইত। নৌকাটা একটু-আধটু করে দোলে ঢেউয়ের সামান্য ওপর। কিছু করার নেই। এখানে সময় স্থির। অল্প বয়সের ছেলে ক্রাইতের খুব ইচ্ছে হয় বাবাকে ডাকতে- 'ও বাবা, ভয় করে। নিয়া যান। আর আসব না ইদিকটায়।' বলতে ইচ্ছে করে। গলা থেকে বের হয় না কিছুই। গলা শুকায়। লাশের গন্ধ ছড়ায়। বাবলু শিকদার কেমন তাকিয়ে আছে! চোখ দুটো বড্ড প্রাণবন্ত। কথা বলতে চায়। 'তোমার নাম কী, ছেলে?' কথাও বলে কি বাবলু শিকদার! 'ক্যক কা ক্রাইত।' 'সুন্দর নাম। আমারে কবর দিতে পারবা মাটিতে? এই পানিতে ভাসাভাসি কঠিন খুব। শীত। জাঁকানো শীত। আমার শীতে সমস্যা। ঠান্ডা, কাশি, সর্দি। খকখক।' কাশেও বাবলু শিকদার। গলা দিয়ে কালো, জমাট রক্তের মতো বের হয়ে আসে! 'আমি যাব মাচাংয়ে। বাড়িত মেহমান। যাইতে দ্যান।' কণ্ঠে আকুতি ক্রাইতের। একটা মরা, নির্জীব দেহের কাছে হার মেনে বসে আছে।
কম দেখান