পাহাড়, টিলা, বিস্তীর্ণ জলরাশি ও ফসলের মাঠ প্রভৃতি বৈচিত্র্যময় নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এক প্রাচীন জনপদ হবিগঞ্জ। সিলেট বিভাগের দক্ষিণ-পশ্চিমে এর অবস্থান। পূর্বে হবিগঞ্জ সিলেট জেলার একটি মহকুমা ছিল। ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হবিগঞ্জ মহকুমা প্রায় ১০৬ বছর পর, অর্থাৎ ১৯৮৪ সালে পূর্ণাঙ্গ জেলায় উন্নীত হয়। চুনারুঘাট, বাহুবল, মাধবপুর, হবিগঞ্জ সদর, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং,...
আরো পড়ুন
পাহাড়, টিলা, বিস্তীর্ণ জলরাশি ও ফসলের মাঠ প্রভৃতি বৈচিত্র্যময় নৈসর্গিক সৌন্দর্যমণ্ডিত এক প্রাচীন জনপদ হবিগঞ্জ। সিলেট বিভাগের দক্ষিণ-পশ্চিমে এর অবস্থান। পূর্বে হবিগঞ্জ সিলেট জেলার একটি মহকুমা ছিল। ১৮৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হবিগঞ্জ মহকুমা প্রায় ১০৬ বছর পর, অর্থাৎ ১৯৮৪ সালে পূর্ণাঙ্গ জেলায় উন্নীত হয়। চুনারুঘাট, বাহুবল, মাধবপুর, হবিগঞ্জ সদর, আজমিরীগঞ্জ, বানিয়াচং, লাখাই ও নবীগঞ্জ এই আটটি উপজেলা নিয়ে হবিগঞ্জ জেলা গঠিত। হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার সাতছড়ি, কালেঙ্গা এবং বাহুবল উপজেলার কালিগজিয়ায় টিপরা ক্ষুদ্র জাতিসত্তার প্রায় কয়েক হাজার লোক বসবাস করে। উল্লেখ্য যে এরা আসলে ত্রিপুরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী হিসেবে সমধিক পরিচিত। তবে স্থানীয়ভাবে এদেরকে টিপরা হিসেবেই সম্বোধন করা হয়। তাদের আদি আবাসস্থল ভারতের ত্রিপুরা রাজ্য।
ব্রিটিশ আমলে তাদের এ দেশে আগমন ঘটে। নৃতাত্ত্বিক বিচারে তারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী। অন্যান্য ক্ষুদ্র জাতিসত্তার মতো তাদেরও রয়েছে নিজস্ব সংস্কৃতি। গবেষণাকর্মটি সম্পন্ন করতে প্রধানত মাঠ পর্যায়ে সংগৃহীত তথ্যের ওপরই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হলেও পাশাপাশি দ্বৈতীয়িক উৎস (এ সম্পর্কিত প্রকাশিত ও অপ্রকাশিত বিভিন্ন প্রবন্ধ, গ্রন্থ, রিপোর্ট ও জরিপ ইত্যাদি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য (Thematic Sequence) অনুযায়ী সাজিয়ে তথ্য উদঘাটন, বিশ্লেষণমূলক, তুলনামূলক, বর্ণনা ও গবেষণাধর্মী পদ্ধতি অনুসরণ করে টিপরা (ত্রিপুরা) ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নৃতাত্ত্বিক পরিচয়, ধর্মীয় রীতি-পদ্ধতির বৈচিত্র্য, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য, পোশাক-পরিচ্ছেদ, দৈনন্দিন আচরণ, লোকবিশ্বাস ও সংস্কার, খাবার-দাবার, লোকক্রীড়া, ভাষা-বৈচিত্র্য ইত্যাদি বিষয়ে বিশ্লেষণমূলক আলোচনা লিপিবদ্ধ
কম দেখান