যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন মানুষের জীবনে এটে সেঁটে বসছে আধুনিকতার ধারা। একে একে নতুনের চমকে পুরনোরা যেন আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। সব কিছু ঢেকে যাচ্ছে চকমকিতে। এতে করে জীবন ধারায় সঞ্চালিত হয়ে উঠেছে রকেট গতির প্রতিযোগিতা। একটার পর একটা পরিবর্তন এনে দিচ্ছে কী করে নিজেকে আরো বেশি প্রাপ্তির...
আরো পড়ুন
যতই দিন যাচ্ছে ততই যেন মানুষের জীবনে এটে সেঁটে বসছে আধুনিকতার ধারা। একে একে নতুনের চমকে পুরনোরা যেন আস্তে আস্তে দূরে সরে যাচ্ছে। সব কিছু ঢেকে যাচ্ছে চকমকিতে। এতে করে জীবন ধারায় সঞ্চালিত হয়ে উঠেছে রকেট গতির প্রতিযোগিতা। একটার পর একটা পরিবর্তন এনে দিচ্ছে কী করে নিজেকে আরো বেশি প্রাপ্তির খাতায় নাম লেখানো যায়। ঐতিহ্যের ধারা আজ যেন বার্ষিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। প্রদর্শনী আর ক্ষণিক হৈ চৈ জীবনকে নতুন করে তোলে তার ক্লান্তির ধারায়। মানুষ যেন আজ শারীরিক শ্রম ভুলে যাচ্ছে। খাঁচার পাখি বা খামারে লালন পালন করা মুরগীর মত উৎপাদন করে যাচ্ছে তার চাহিদার মত করে। বেড়ে চলা মানুষের ভীড়ে আর প্রয়োজনের তাগিদে মানুষও যেন যন্ত্র হতে চলেছে। সারা বিশ্ব জুড়ে আরো বেশি প্রাপ্তি ও আরো একটু আরাম আয়েশের আশায় সময় ও শ্রম বাঁচিয়ে নিজেকে আরো বেশি সমৃদ্ধ করে তুলছে। বর্তমানে ভিনদেশি চাকচিক্য সংস্কৃতি সমাজে প্রবেশ করে আমাদের পুরোনো নিজস্ব ঐতিহ্যকে পেছনে ফেলে যেন জ্যামিতিক হারে এগিয়ে চলছে। ঠিক আমাদের পুরোনো সংস্কৃতি গাণিতিক হারের মত দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই দুর্বলতাকে পাশকাটিয়ে আমাদের সংস্কৃতিকে আমাদেরই লালন করতে হবে। তা না হলে তখন হয়ত আমাদের নতুন প্রজন্ম এ ঐতিহ্য থেকে একবারে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়বে।
কম দেখান