গ্রামীণ জীবনে যে সকল লোককথা, রূপকথা, উপকথা, গাঁথা, কল্পকথা, আখ্যান, লোকসুর প্রচলিত আছে সেগুলিকে অবলম্বন করে এমন অসংখ্য লোকনাট্য এবং নাট্যগীতিধারা গ্রাম-বাংলায় পরিবেশিত হতে দেখা যায়। বিশেষ কোন উৎসব,পার্বণ, কিংবা লোকাচারকে উদ্দেশ্য করে এমন নাট্যগীতি পরিবেশন করা হয়। একসময় আমাদের সমাজে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে ধর্ম কিংবা সমাজ সম্পর্কিত যে কোন...
আরো পড়ুন
গ্রামীণ জীবনে যে সকল লোককথা, রূপকথা, উপকথা, গাঁথা, কল্পকথা, আখ্যান, লোকসুর প্রচলিত আছে সেগুলিকে অবলম্বন করে এমন অসংখ্য লোকনাট্য এবং নাট্যগীতিধারা গ্রাম-বাংলায় পরিবেশিত হতে দেখা যায়। বিশেষ কোন উৎসব,পার্বণ, কিংবা লোকাচারকে উদ্দেশ্য করে এমন নাট্যগীতি পরিবেশন করা হয়। একসময় আমাদের সমাজে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে ধর্ম কিংবা সমাজ সম্পর্কিত যে কোন ধরণের সচেতনতা জাগাতে ঘাটু, লেটো, আলকাপ প্রভৃতি পালা ও পালানাট্যের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা অঞ্চলের গান মানেই- ‘কানু ছাড়া গীত নাই, রাধা ছাড়া সাধা নাই’ ‘ঘাটু গান’ ঠিক সেই ভাবধারারই পরম্পরা। তাছাড়া বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও সিলেটের সমৃদ্ধ গীতিধারায় ঘাটু গানের সুর লোকসমাজে বেশ সমাদৃত।
সংগীতের গুরুত্ব বিবেচনায় ঘাটু একটি আঞ্চলিক ধারার গীত ও লোকনাট্যরীতি। বৈচিত্র্যময় লোকসংগীত হিসেবে সুর, কথা ও বিষয়াবলীর উপস্থাপনায় ঘাটু গানের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান রয়েছে।
ঘাটু গান ও তৎকালীন সামাজিক, সাংস্কৃতিক জীবনের সাথে পরিচিতির লক্ষেই সে সময়ের অতি জনপ্রিয় এই আঞ্চলিক গীতরীতির উদ্ভব, বিকাশ, পরিবেশন বা গায়নরীতির কাঠামো অনুসন্ধান করার প্রয়োজন অনুভব করি। কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা সংগীত, পরিবেশনা কলা, বাংলা সাহিত্য, ফোকলোর ইত্যাদি বিষয়ে গবেষণা করছেন তাঁদের কথা বিবেচনা করে বইটি প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
কম দেখান