১৯১২ সালের কথা। শরৎচন্দ্র তখন রেঙ্গুনের বোটাটং ল্যান্সডাউন স্ট্রিটে একটা দোতলা কাঠের বাড়ির বাসিন্দা। ৫ ফেব্রæয়ারি হঠাৎ তাঁর বাড়ির কাছাকাছি আগুন লাগল, বাড়িগুলো সব কাঠের হওয়ায় দাবানলের মতো আগুন ছড়াতে ছড়াতে অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর বাড়িতেও এসে লাগল। চোখের সামনেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল। সেই আগুনের কবল থেকে শরৎচন্দ্র সামান্য...
আরো পড়ুন
১৯১২ সালের কথা। শরৎচন্দ্র তখন রেঙ্গুনের বোটাটং ল্যান্সডাউন স্ট্রিটে একটা দোতলা কাঠের বাড়ির বাসিন্দা। ৫ ফেব্রæয়ারি হঠাৎ তাঁর বাড়ির কাছাকাছি আগুন লাগল, বাড়িগুলো সব কাঠের হওয়ায় দাবানলের মতো আগুন ছড়াতে ছড়াতে অল্প সময়ের মধ্যেই তাঁর বাড়িতেও এসে লাগল। চোখের সামনেই দাউদাউ করে জ্বলে উঠল। সেই আগুনের কবল থেকে শরৎচন্দ্র সামান্য কিছু জিনিস বাঁচাতে পারলেও, তাঁর সৃষ্টির অনেক কিছুই হারাতে বাধ্য হলেন।
চরিত্রহীন শরৎচন্দ্রের সচেতনচিত্তের ব্যতিক্রম সৃষ্টি। উপন্যাসটি সম্পর্কে তাঁর গভীর প্রত্যয়ের পরিচয় এই সময়ে লেখা বিভিন্ন চিঠিতে আমরা পাই। তাই আগুনে পুড়ে যাওয়ার পর চরিত্রহীন-কে তিনি ভুলে যেতে পারলেন না। নতুন উদ্যমে আবার লিখতে শুরু করলেন।
মাঘ, ১৯১৩-তে যমুনা পত্রিকার সম্পাদক ফণীন্দ্রনাথ পাল-কে লিখলেন: চরিত্রহীন প্রায় সমাধার দিকে পৌঁছেচে। তবে সকাল ছাড়া রাত্রে আমি লিখতে পারি নে।’
চিঠিচাপাটির সূত্রে শরৎচন্দ্রের চরিত্রহীন দাহের খবর যেমন বন্ধুমহলে সুদূর রেঙ্গুন থেকে এসেছিল, তেমনি এলো চরিত্রহীন পুনর্লিখনের খবরও। কিš‘, চরিত্রহীন যে কী ব¯‘, তা তখনও তাঁরা সম্যক বুঝলেন না। শরৎচন্দ্র লিখছেন মানে, ভালো কিছু একটা নিশ্চয়ই হবে। ব্যস, সম্পাদকবন্ধুরা তাঁকে ছেঁকে ধরলেন। লেখাটা প্রত্যেকেরই চাই! বন্ধুদের আবদার এড়ানোও মুশকিল।
কম দেখান