উপন্যাসটি আমাদের সমাজের প্রতিটি মানুষের জীবনেরই গল্প। জীবনপাঠে সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায় পিতৃ-মাতৃহীন সন্তান হয়ে জন্ম নেয়া। উপন্যাসের তেমনি এক চরিত্র রিমি। যার বেদনাদায়ক অধ্যায়কে সুখপাঠ্য করে তোলে দাদী, ফুপি ও অন্য স্বজনরা। মা-বাবার স্নেহ-ছায়ার পরশ হয়ে আগলে রাখে দাদী। কিশোরী বয়সে মনের অজান্তে সম্পর্ক গড়ায় সৌরভের সাথে। পরিবারের সবাই রাজি...
আরো পড়ুন
উপন্যাসটি আমাদের সমাজের প্রতিটি মানুষের জীবনেরই গল্প। জীবনপাঠে সবচেয়ে বেদনাদায়ক অধ্যায় পিতৃ-মাতৃহীন সন্তান হয়ে জন্ম নেয়া। উপন্যাসের তেমনি এক চরিত্র রিমি। যার বেদনাদায়ক অধ্যায়কে সুখপাঠ্য করে তোলে দাদী, ফুপি ও অন্য স্বজনরা। মা-বাবার স্নেহ-ছায়ার পরশ হয়ে আগলে রাখে দাদী। কিশোরী বয়সে মনের অজান্তে সম্পর্ক গড়ায় সৌরভের সাথে। পরিবারের সবাই রাজি না হলেও, দাদীর মধ্যস্থতায় তাদের সম্পর্ক বন্ধনে পরিণত হয়। এক সময় ভালো চাকরি হয়, কন্যা আসে ঘরে। তার ভেতরই নেমে আসে তাদের সংসারে বিশ্বাস আর ভরসার ঘাটতি, মান-অভিমান। ঠিক তখনি উপন্যাসের মোড় ঘুরে যায়। বাড়তে থাকে কাহিনির চিত্রপট।
সৌরভের শহরে বন্ধুদের গ্রামে বেড়ানোর মাধ্যমে পুরো গ্রামব্যবস্থার বর্তমান অবস্থাকে তুলে ধরা হয়েছে। দোকানে, বাড়িতে, ধানের চাতালে ওয়াইফাই কানেকশন, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার মাধ্যমে অনেক অশিক্ষিত মানুষ কনটেন্ট তৈরি করে অর্থ আয়। সেসময়কার জনজীবন চলাচল, আবহমান বাংলা সংস্কৃতির সাথে বর্তমান সময়ের ঘটনা প্রবাহকে দাদীর গল্পের মাধ্যমে উপস্থাপন। প্রেম, বিরহ, গ্রামীণ জীবন, পারিবারিক বন্ধন, সামজিক জীবনব্যবস্থা, মিলন, বিচ্ছেদ, প্রেরণা, উপহাস, সব মিলিয়েই এই জীবনবিলাস!
কম দেখান