ময়মনসিংহ শহরের একটা ক্লিনিকের সামনে অষ্টাদশী তরুণী তানিয়ার বুকফাটা আর্তনাদে আশেপাশের কৌতূহলী মানুষ কান্নার কারণ জানতে চায়। তানিয়ার মা কঠিন গলায় বলে, 'মরা বাচ্চা হইছে। তাই কানতাছে।'
ঠিক সেই সময় ক্লিনিকের সামনে একটা প্রাইভেট-কারের ভেতর নূপুর এক সদ্যোজাত বাচ্চার কান্না থামানোর চেষ্টা করছিল। ড্রাইভার কৌতূহলী গলায় বাচ্চার মায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে...
আরো পড়ুন
ময়মনসিংহ শহরের একটা ক্লিনিকের সামনে অষ্টাদশী তরুণী তানিয়ার বুকফাটা আর্তনাদে আশেপাশের কৌতূহলী মানুষ কান্নার কারণ জানতে চায়। তানিয়ার মা কঠিন গলায় বলে, 'মরা বাচ্চা হইছে। তাই কানতাছে।'
ঠিক সেই সময় ক্লিনিকের সামনে একটা প্রাইভেট-কারের ভেতর নূপুর এক সদ্যোজাত বাচ্চার কান্না থামানোর চেষ্টা করছিল। ড্রাইভার কৌতূহলী গলায় বাচ্চার মায়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে নূপুর গম্ভীরমুখে বলে, 'বাচ্চার মা মারা গেছে।'
গল্পটা দুজন মায়ের- তানিয়া ও নূপুরের। তানিয়া দীপাকে দশমাস পেটে ধরেছেন। তারপর সমাজের ভয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত দীপাকে তুলে দিয়েছেন আরেকজন মা নূপুরের কোলে। যে নূপুর বাচ্চা না হবার হতাশায় মরতে বসেছিল। নূপুরের ভালোবাসা ও মায়ায় দীপা বড়ো হতে থাকে। একটা সময় দীপা তার জীবনের সত্যিটা আবিষ্কার করে। একদিকে জন্মদাত্রী মা তানিয়া আরেকদিকে নূপুর- যে কিনা সবটুকু মায়া দিয়ে তাকে মানুষ করেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তানকে যে মা অস্বীকার করেছিল তাকেই আরেক মা নিজের সন্তান বলে স্বীকার করে নিয়েছিল। কিন্তু হাজার হলেও তো জন্মদাত্রী! মনের ভেতর এক অদ্ভুত, জটিল দোলাচলের সৃষ্টি হয়। দীপা কার কাছে ফিরে যাবে?
কম দেখান