সোবাহান সাহেব সত্যি সত্যি আশ্চর্য হয়েছেন। আশ্চর্য হবার অবশ্য কারণও আছে। অতি যৌক্তিক কারণ। তিনি মারা গেছেন অথচ সব স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন। গুমগুম করে মেঘ ডাকছে আকাশে। দোতলায় কেউ চিৎকার করে কথা বলছে। রাস্তার পাশের বিলবোর্ডে সিনেমার বিজ্ঞাপন চলছে। যে খাটিয়াতে তিনি শুয়ে আছেন, সেই খাটিয়াকে ঘিরে দুটো বাচ্চা ছেলে...
আরো পড়ুন
সোবাহান সাহেব সত্যি সত্যি আশ্চর্য হয়েছেন। আশ্চর্য হবার অবশ্য কারণও আছে। অতি যৌক্তিক কারণ। তিনি মারা গেছেন অথচ সব স্পষ্ট শুনতে পাচ্ছেন। গুমগুম করে মেঘ ডাকছে আকাশে। দোতলায় কেউ চিৎকার করে কথা বলছে। রাস্তার পাশের বিলবোর্ডে সিনেমার বিজ্ঞাপন চলছে। যে খাটিয়াতে তিনি শুয়ে আছেন, সেই খাটিয়াকে ঘিরে দুটো বাচ্চা ছেলে দৌঁড়াচ্ছে আর ‘কু ঝিক ঝিক, কু ঝিক ঝিক’ শব্দ করছে। এমনকি পাশের বাড়ির দোতলা বা তিনতলা থেকে তীব্র শব্দে হিন্দি গান ভেসে আসছে, ‘মুন্নি বদনাম হোয়ে, ডার্লিং তেরে লিয়ে...।’
এই হলো ঢাকা শহরের অবস্থা! পাশের বাসায় একটা মানুষ মারা গেছে অথচ এই নিয়ে কারো একটু সহানুভূতি পর্যন্ত নেই। সোবাহান সাহেব গভীর দুঃখে দীর্ঘশ্বাস ফেলতে চাইলেন। কিন্তু পারলেন না। বরং তার আবারও মনে পড়ল, তিনি মারা গেছেন।
মৃত মানুষের আবার শ্বাস দীর্ঘশ্বাস কী!
কম দেখান