ফজলুল বারি চৌধুরীর (১৯০৪-১৯৭৪) জন্ম অখণ্ডিত নদীয়া জেলার কুষ্টিয়া মহকুমার মজমপুরে। পড়াশুনা কুষ্টিয়া হাইস্কুল এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও মেডিক্যাল কলেজে। কুষ্টিয়ার অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট (১৯৩১-১৯৫৮) ও সমাজসেবার বহুবিধ কর্মের পাশাপাশি সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চাতেও মনোযোগী ছিলেন।
অন্নদাশঙ্কর রায়, হিরণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজী মোতাহার হোসেন, উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য- এইসব মনস্বী লেখকের সঙ্গ-সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন ফজলুল বারি...
আরো পড়ুন
ফজলুল বারি চৌধুরীর (১৯০৪-১৯৭৪) জন্ম অখণ্ডিত নদীয়া জেলার কুষ্টিয়া মহকুমার মজমপুরে। পড়াশুনা কুষ্টিয়া হাইস্কুল এবং কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ ও মেডিক্যাল কলেজে। কুষ্টিয়ার অনারারি ম্যাজিস্ট্রেট (১৯৩১-১৯৫৮) ও সমাজসেবার বহুবিধ কর্মের পাশাপাশি সাহিত্য-সংস্কৃতি চর্চাতেও মনোযোগী ছিলেন।
অন্নদাশঙ্কর রায়, হিরণ্ময় বন্দ্যোপাধ্যায়, কাজী মোতাহার হোসেন, উপেন্দ্রনাথ ভট্টাচার্য- এইসব মনস্বী লেখকের সঙ্গ-সান্নিধ্য লাভ করেছিলেন ফজলুল বারি চৌধুরী। লেখক হিসেবে তিনি বৃহত্তর ক্ষেত্রে নিজেকে উপস্থাপিত করতে পারেননি এ-কথা সত্য, তবে উত্তরকালের কয়েকজন খ্যাতিমান লেখকের সাহিত্যজীবনের উন্মেষপর্বে তিনিই ছিলেন তাঁদের প্রেরণা, আদর্শ ও পথপ্রদর্শক।
ফজলুল বারি চৌধুরীর লেখালেখির শুরু বিশ শতকের বিশের দশকের শেষ প্রান্তে। স্থানীয় পত্র-পত্রিকায় প্রায় নিয়মিতই তাঁর গল্প-কবিতা-প্রবন্ধ প্রকাশ পেত। তবে তিনি মূলত গল্পকার হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেন।
নব্বই বছর আগে-লেখা আটটি গল্পের গ্রন্থরূপ এই আগুনের খেলা ও অন্যান্য গল্প। গল্পগুলো সেকালের মতো একালেও পাঠক-সমালোচকের মনোযোগ ও প্রশংসা-বঞ্চিত হয়নি। এসব গল্পে গভীর জীবনবোধ, মানবিক উপলব্ধি, দেশানুরাগ ও সম্প্রীতিচেতনা প্রকাশিত। নয় দশক আগে প্রকাশিত এই গল্পগুলো উদ্ধার, সংকলন ও সম্পাদনা করেছেন অনুসন্ধানী গবেষক ড. আবুল আহসান চৌধুরী। এই লেখকের ১২০তম জন্মবর্ষ ও ৫০তম মৃত্যুবর্ষে তাঁর প্রতি উত্তরপ্রজন্মের গভীর শ্রদ্ধা।
কম দেখান