ষাটের দশকে হাসান আজিজুল হক ছোটগল্পের ভুবনে তাঁর ঈর্ষণীয় স্বাক্ষর নিয়ে আবির্ভূত হন। জীবনোপলব্ধির স্বাতন্ত্র্যই নির্ধারণ করে একজন শিল্পীর নির্মাণ-প্রকৌশল। হাসান সেইসব পোড়ামাটির শিল্পীদের একজন যাঁদের জীবনের পাটাতনে লুকিয়ে আছে ভূমিচ্যুত মানুষের বেদনা, লুকিয়ে আছে উদ্বাস্তু অভিবাসী মানুষের গভীর মর্মযন্ত্রণা। তাইতো তাঁর গল্পের এক মৌল দিক হলো দেশভাগ। হাসানের গল্পে...
আরো পড়ুন
ষাটের দশকে হাসান আজিজুল হক ছোটগল্পের ভুবনে তাঁর ঈর্ষণীয় স্বাক্ষর নিয়ে আবির্ভূত হন। জীবনোপলব্ধির স্বাতন্ত্র্যই নির্ধারণ করে একজন শিল্পীর নির্মাণ-প্রকৌশল। হাসান সেইসব পোড়ামাটির শিল্পীদের একজন যাঁদের জীবনের পাটাতনে লুকিয়ে আছে ভূমিচ্যুত মানুষের বেদনা, লুকিয়ে আছে উদ্বাস্তু অভিবাসী মানুষের গভীর মর্মযন্ত্রণা। তাইতো তাঁর গল্পের এক মৌল দিক হলো দেশভাগ। হাসানের গল্পে পূর্ণাঙ্গ অবয়বের মানুষ নয় ব্যবচ্ছেদ করা মানুষের দেখা পাওয়া যায় বেশি। এ গ্রন্থে আছে ৭টি গল্প। সামরিক অক্টোপাসে বন্দি এ দেশের গণমানুষের অবরুদ্ধ মুক্তি-আকাক্সক্ষাকে প্রতীক-আঙ্গিকে বিন্যাস করেছেন এ গ্রন্থের ‘অচিন পাখি’ গল্পে। গ্রামজীবনবিচ্ছিন্ন বুর্জোয়া রাজনীতির সংকীর্ণতা ও অন্তঃসারশূন্যতাকে ইঙ্গিতময় প্রতীকী অনুষঙ্গে চিত্রিত করেছেন ‘হাওয়া নেই’ গল্পে। এক অর্থে হাসানের সমগ্র গল্পজগতই প্রতীকগল্প। এক অন্তহীন প্রতীকতার ইশারা আছন্ন করে রাখে তাঁর গল্প-শরীরকে।
কম দেখান