জল ফড়িংয়ের মতো ঘুমিয়ে আছো তুমি। সবুজ শ্যাওলা জমেছে টুকটুকে লাল নৌকোয়। তাতে নরম ঠোঁট বুলিয়ে যায় দোয়েল, কোকিল আর শ্যামা। ফিঙের ঠোঁটে একটা সরপুঁটি রৌদ্র আলোয় চকচক করে। সে আলোয় আমার চোখের রেটিনা পুড়ে যায়। আমি ঘুমোতে পারি না কখনো। জেগে থাকি আর জেগে থাকি। জেগে থাকি দিবানিশি।
তোমার পাল...
আরো পড়ুন
জল ফড়িংয়ের মতো ঘুমিয়ে আছো তুমি। সবুজ শ্যাওলা জমেছে টুকটুকে লাল নৌকোয়। তাতে নরম ঠোঁট বুলিয়ে যায় দোয়েল, কোকিল আর শ্যামা। ফিঙের ঠোঁটে একটা সরপুঁটি রৌদ্র আলোয় চকচক করে। সে আলোয় আমার চোখের রেটিনা পুড়ে যায়। আমি ঘুমোতে পারি না কখনো। জেগে থাকি আর জেগে থাকি। জেগে থাকি দিবানিশি।
তোমার পাল নামিয়ে রাখা চোখের পাপড়িতে আমি মেঠো পথ খুঁজি। খুঁজি মর্মরে বাঁশ পাতার ভিতর। নূপুর পরা পায়ে ছবি আঁকে ধুলো। বাংলা মায়ের ধুলো। কপালে তিলক করে রেখে দিই আমি আজন্ম। আকন্দ ফুলের গন্ধ আমি খুঁজে ফিরি বাংলার মেঠো পথে। এক ঝাঁক বালিহাঁস উড়ে যায় নীলে। আমি দেখি আর দেখি। আমি ঘুমোতে পারি না কখনো। তোমার সৌন্দর্যে পুড়ে যায় আমার হৃৎপিণ্ড।
সজনে পাতার ডালে যেমন বাসা বাঁধে টুনটুনি, ঠিক তেমনি তুমি আমার হৃদয়ে। হিজলের ফুল যেমন পুকুরের জলে দুধের সরের মতো পড়ে থাকে, তেমনি তুমি। জলঙ্গীর ঢেউয়ে ভিজে যায় তোমার দীর্ঘ কালো ঘন চুল। পাকা ধান ক্ষেতে বিকেল সূর্য ঢেলে দেয় আবির। সৌন্দর্যের আগুন লাগে বাংলায়। আমি ঘুমোতে পারি না। ঘুমোতে পারি না কখনো।
চৈত্র দগ্ধ মাঠে হঠাৎ এক পশলা বৃষ্টি নেমে এলে মাটি যে সোঁদা গন্ধ ছড়ায়, আমি তার প্রেমে হাবুডুবু খাই। ছাতিম গাছের তলায় রাখাল যখন বাঁশিতে মিহি সুর ঝরায় তখন আমি মরে যেতে চাই। আমি ঘুমোতে পারি না কখনো। আমি ঘুমোতে পারি না। বাংলার সৌন্দর্য আমাকে ঘুমোতে দেয় না। জাগিয়ে রাখে অহর্নিশ।
কম দেখান