তিতিল অপর্ণা ও সিমি মফঃস্বল বেড়ে ওঠা তারা তিন বান্ধবী , উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত যাদের পথ চলা ছিল ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা ও চেতনায়। কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় পাড়ি দিয়ে জীবনের দারুণ সব স্বপ্ন ডিঙিয়ে অন্য ছন্দে বসবাস শুরু করে। তাদের এই পথ চলায় কত শত বাধা-বিপত্তির গল্পে অনুপ্রেরণা জোগাতে একেকজন...
আরো পড়ুন
তিতিল অপর্ণা ও সিমি মফঃস্বল বেড়ে ওঠা তারা তিন বান্ধবী , উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত যাদের পথ চলা ছিল ভিন্নভাবে ভিন্ন চিন্তা ও চেতনায়। কিন্তু উচ্চশিক্ষার জন্য ঢাকায় পাড়ি দিয়ে জীবনের দারুণ সব স্বপ্ন ডিঙিয়ে অন্য ছন্দে বসবাস শুরু করে। তাদের এই পথ চলায় কত শত বাধা-বিপত্তির গল্পে অনুপ্রেরণা জোগাতে একেকজন একেক সময় তাদের পাশে এসেছে, কেউ ভালোবেসেছে নিস্বার্থের সারথি হয়ে। কেউবা ভালোবাসার মোড়কে দিয়ে গেছে নিদারুণ পরিণতি। ফারিহা ও জলি আপা গল্পের পরতে পরতে যাদের দীক্ষা দিয়ে গেছে কীভাবে লড়ে যেতে হয়। দূরের পথে মা-বাবাকে রেখে বসবাস মোটেও সাচ্ছন্দ্যের হয় না। একটা সময় তাদের পাঁচজন মিলে একটা সংসার গড়ে ওঠে। হ্যাঁ, এই সংসারে হাসি-কান্নায় ও ছন্দহীন মায়া জন্ম নেয়। এই মায়া ও ভীষণ মিষ্টি ভালোবাসায় পরিপূর্ণ থাকে একে অন্যের দুঃখ ভাগাভাগিতে।
একজন মানুষ কতটুকু ভালোবাসা বিলিয়ে দিতে জানে নিজের ভালোবাসার মানুষকে তার প্রমাণ এই গল্পের সুজন। যে ভালোবাসার মোহনীয়তাতে আগলে ছিল সিমি। এক সময় ধনীর দুলালের মোহ তাকে কঠিন সেই ভালোবাসা থেকেও দূরে নিয়ে যায়। বহুদূরের পথ, সত্যিকারের ভালোবাসাকে ভুলিয়ে দিতে কিছু সাময়িক মোহ মানুষকে চরম পরিণতির দিকে টেনে নেয়। লোভ আর পূর্ণতার আকাক্সক্ষা মানুষ ধ্বংসস্তূপে নিক্ষেপ করে। মানুষের তখন শুধু বুক চাপড়িয়ে আপসোস করা ছাড়া কিছু করার থাকে না। আহা! যদি একটিবার কাছের মানুষগুলোর ডাক শুনতে পেতাম। যদি আবার ফিরে যেতে পারতাম জীবনের ফেলে আসা দিনগুলোতে। পোড়াল মুখ, পোড়াল মন, পোড়াল সংসার। শেষ পরিণতিটা কি? একটা অপমৃত্যু।
কম দেখান