মানুষের জীবনকে তুলনা করা হয় বহতা নদীর সাথে। জীবন যেমন কারো জন্য থেমে থাকে না, সময় যেমন প্রতিমুহূর্তে বদলায়, নদীও ঠিক তেমনি অবিরাম প্রবাহে বদলাতে থাকে। তাই ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ঠিক কোন উপন্যাস হয়ে ওঠে না যেন! নামের স্বার্থকতা ধরে রাখবার জন্যই যেন এ উপন্যাসও ঠিক নদীর মতই বহতা!...
আরো পড়ুন
মানুষের জীবনকে তুলনা করা হয় বহতা নদীর সাথে। জীবন যেমন কারো জন্য থেমে থাকে না, সময় যেমন প্রতিমুহূর্তে বদলায়, নদীও ঠিক তেমনি অবিরাম প্রবাহে বদলাতে থাকে। তাই ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ ঠিক কোন উপন্যাস হয়ে ওঠে না যেন! নামের স্বার্থকতা ধরে রাখবার জন্যই যেন এ উপন্যাসও ঠিক নদীর মতই বহতা! ঠিক একক বা একাধিক চরিত্রকে কেন্দ্র করে এ উপন্যাস গড়ে উঠেনি। তিতাস নদীর প্রবাহকে ঘিরে এ উপন্যাসের বয়ে চলা। সাথে বাকি সব চরিত্রের উপস্থিতি যেন শুধুই তিতাসকে বইয়ের পাতায় জীবন্ত করে তুলবার জন্যই।
তিতাসের সাথে আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে থাকা কিছু গ্রাম, কিছু পরিবার আর কিছু মানুষ জীবনের প্রতিটা বাঁকেই যেন তিতাসের হাতেই নিজেদের সমর্পণ করে দেয়। তাদের জীবন-জীবিকা, সুখ-দুঃখ, হাসি-খেলা, আনন্দ-উৎসব, বাঁচা-মরা সবকিছুই যেন তিতাসকে ঘিরেই! তিতাসের দর্প থাকলে তারাও প্রবল দর্পে বাঁচে, তিতাস ধুঁকতে থাকলে তারাও ধুঁকতে থাকে আর তিতাস শুকিয়ে গেলে সেসব মানুষগুলোর প্রাণরসও যেন শুকিয়ে যায়। তাই ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ কোন উপন্যাস না। ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ একটি ইতিহাস। তিতাস নদীর ইতিহাস। মালোপাড়ার ইতিহাস। কৃষকদের ইতিহাস। হিংসা-বিদ্বেষ, সুখ-দুঃখের ইতিহাস। একটি বিস্তৃত জনপদের ইতিহাস!
কম দেখান