ডিএনএ কীভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল এখানে সে ব্যাপারে খানিকটা বলছি। এর মধ্যে বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইংল্যান্ডের পরিবেশ-পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। সেখানে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। আমি আশা করছি, এ বই আপনাকে দেখাবে বহিরাগতদের দ্বারা বিজ্ঞান কী করে অগ্রসর হয়। অগ্রসরতা (মাঝে মাঝে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া) বেশির ভাগই মানব আচরণের ওপর নির্ভর করে।...
আরো পড়ুন
ডিএনএ কীভাবে আবিষ্কৃত হয়েছিল এখানে সে ব্যাপারে খানিকটা বলছি। এর মধ্যে বিশ্বযুদ্ধ-পরবর্তী ইংল্যান্ডের পরিবেশ-পরিস্থিতি বোঝার চেষ্টা করছিলাম। সেখানে আমি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনার সাক্ষী। আমি আশা করছি, এ বই আপনাকে দেখাবে বহিরাগতদের দ্বারা বিজ্ঞান কী করে অগ্রসর হয়। অগ্রসরতা (মাঝে মাঝে ব্যাকফুটে চলে যাওয়া) বেশির ভাগই মানব আচরণের ওপর নির্ভর করে। তা ছাড়া এতে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও ব্যক্তিত্বও মুখ্য ভূমিকা পালন করে। প্রাসঙ্গিক ঘটনা আমি আমার নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করেছি। যাই হোক, কাজের ব্যাপারে অনেকের মন্তব্যই একপেশে ছিল। জোরালো সময় ছিল ১৯৫১-১৯৫৪ সালের এই সময়ের মধ্যে। ধারণা, মানুষ আর আমি নিজে। আমি জানি, এ গল্পে বলা অন্য অংশগ্রহণকারীরা একই ব্যাপারকে বিভিন্নভাবে নিজেদের মতো করে ব্যাখ্যা করবে। মাঝে মাঝে তা হবে আমার স্মৃতি থেকে তাদের স্মৃতি ভিন্ন বলে। আর অন্য কারণ হচ্ছে একই ধারণা পুরোপুরি একইভাবে দু’জন সাক্ষ্য দিতে পারে না। তার মানে, গঠনটা কীভাবে আবিষ্কৃত হয়েছে এ ব্যাপারে নিশ্চিত ইতিহাস কেউ লিখতে পারবে না। আমি অনুভব করছিলাম এ গল্পটা আমার বলা উচিত। কারণ আমার বিজ্ঞানী বন্ধুরা খুব আগ্রহ প্রকাশ করছিল ডাবল হেলিক্স কীভাবে পাওয়া গেছে।
বিজ্ঞানের গবেষণা কীভাবে হয় তা নিয়ে জনসাধারণের মাঝে ভ্রান্ত ধারণা আছে। তার মানে এই না যে এখানে আমাদের কাজের যে রকম বর্ণনা দেয়া হয়েছে সব কাজ এভাবেই হয়। ব্যক্তিত্ব ভেদে গবেষণার ধরনও ভিন্ন হয়। অন্যদিকে আমি বিশ্বাস করি না যে বিজ্ঞান জগতে ডিএনএ প্রবেশ করেছে অনাহুতের মতো। ডাবল হেলিক্স খুঁজে পাওয়ার পর থেকে এ নিয়ে একটা বই লেখার তাগিদ অনুভব করে আসছিলাম। আমার জীবনের অন্যান্য অংশের চেয়ে গবেষণা জীবন ভিন্ন পরিচয় বহন করে। আমি এ সময়টায় আমার অভিভাবকদের কাছে প্রচুর চিঠি লিখেছি। তা আমাকে সাহায্যও করেছিল ভীষণভাবে। আমার কিছু বন্ধু পুরনো পাণ্ডুলিপিটা পড়ে আরও কিছু যোগ করতে বলল। আবার পড়ে দেখলাম সত্যি সত্যি কিছু ঘাটতি রয়ে গেছে।
এ দিনগুলোতে আমি যতটা পেরেছি ছবি তুলে রেখেছি। বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই হারবার্ট গাটফ্রন্ডকে, পিটার পলিং, হিউ হাক্সলে ও গান্থার স্টেন্টকে ওদের করিৎকর্মা দৃষ্টি ও বিচক্ষণতার জন্য। জার্নালে সম্পাদনায় সহযোগিতার জন্য লিবি অল্ড্রিচের কাছে আমি ভীষণভাবে কৃতজ্ঞ।
অবশেষে, থমাস জে উইলসনকে অন্তরের অন্তঃস্তল থেকে সাধুবাদ জানাই তাঁর মাত্রাতিরিক্ত সাহায্যের জন্য। তাঁর জ্ঞানী ও বিচক্ষণ পরামর্শের জন্য বইটা আলোর দিশা পেয়েছে।
কম দেখান