মহাবিশ্বে কথা বললে প্রথমেই আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে গ্রহ, তারা, গ্যালাক্সি, নীহারিকাসমৃদ্ধ এমন এক স্থান, যেখানে বর্ণিত বস্তুগুলাে অজানা এক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মহাবিশ্বময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এই চিত্রটি কল্পনা করার জন্য আমাদেরকে খুব বেশি দূর যেতে হয় না- মাথার ওপরে বিস্তৃত আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই চলে। অর্থাৎ মহাবিশ্বের অভ্যন্তরস্থ সকল...
আরো পড়ুন
মহাবিশ্বে কথা বললে প্রথমেই আমাদের মানসপটে ভেসে ওঠে গ্রহ, তারা, গ্যালাক্সি, নীহারিকাসমৃদ্ধ এমন এক স্থান, যেখানে বর্ণিত বস্তুগুলাে অজানা এক বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মহাবিশ্বময় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে রয়েছে। এই চিত্রটি কল্পনা করার জন্য আমাদেরকে খুব বেশি দূর যেতে হয় না- মাথার ওপরে বিস্তৃত আকাশের দিকে দৃষ্টিপাত করলেই চলে। অর্থাৎ মহাবিশ্বের অভ্যন্তরস্থ সকল কিছুর সমন্বয়ে গঠিত যে মহাবিশ্বের কথা বলা হয় সেই মহাবিশ্বের স্থিতির মূলে আছে বস্তুগুলাের মধ্যেকার পারস্পরিক বন্ধন। খুব জটিলতায় না গিয়েও বােঝা যায়, মহাকর্ষ না থাকলে গ্রহ, তারা- কিছুই সৃষ্টি হতাে না। আর এগুলাে সৃষ্টি না হলে প্রাণের অস্তিত্বের কথা চিন্তাও করা যায় না। বইটির মূল বিষয়বস্তু এই মহাকর্ষ। মহাকাশবিজ্ঞানের প্রতি যাদের আগ্রহ আছে, মহাকাশের বস্তু ও ঘটনা যাদের জিজ্ঞাসু মনকে দোলা দেয় এবং মহাকাশের রহস্য পর্দা সরিয়ে যারা এর রহস্য ভেদ করতে ইচ্ছুক তাদের জন্য মহাকর্ষ বিষয়টি জানা অত্যাবশ্যক। শুধুমাত্র মহাকর্ষ দিয়ে জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের বিশাল একটি অংশ সম্পর্কে ধারণা লাভ করা যায়। জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞানের আলােচনা ছাড়া মহাকর্ষের বই পূর্ণতা পায় না। সে জন্য মহাকর্ষের তত্ত্বীয় আলােচনার পাশাপাশি জ্যোতিঃপদার্থবিজ্ঞান বিষয়টিকেও বইটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
কম দেখান