বিকেল বেলা লালু বাইকে রাতিনকে নিয়ে মুন্সী পাড়ায় গেলো। যে বাড়ির সামনে লালু দাঁড়ালো সেটা খায়ের চাচার বাড়ি। রাতিনকে সে খুবই স্নেহ করে। কিরে লালু এইডা তো খায়ের চাচার বাড়ি।
-ঠিকই কইছেন।
-তয় এখানে কেন আনছস আমারে।
-চাচার মুখ থ্যাইক্যা শুনেন।
ও চাচা, ও চাচা রাতিনরে লইয়া আইছি।
বাড়ির ভিতর থেকে সাদা লুঙ্গি ও সাদা...
আরো পড়ুন
বিকেল বেলা লালু বাইকে রাতিনকে নিয়ে মুন্সী পাড়ায় গেলো। যে বাড়ির সামনে লালু দাঁড়ালো সেটা খায়ের চাচার বাড়ি। রাতিনকে সে খুবই স্নেহ করে। কিরে লালু এইডা তো খায়ের চাচার বাড়ি।
-ঠিকই কইছেন।
-তয় এখানে কেন আনছস আমারে।
-চাচার মুখ থ্যাইক্যা শুনেন।
ও চাচা, ও চাচা রাতিনরে লইয়া আইছি।
বাড়ির ভিতর থেকে সাদা লুঙ্গি ও সাদা পাঞ্জাবি পড়া অবস্থায় বেরিয়ে এলো খায়ের চাচা। সূর্য অস্তমিত যাবে বলে। এটার নাম কবি সাহিত্যিকরা গোধূলি বেলা বলে থাকে। বৈঠকখানায় একটি টেবিল ও চারটি চেয়ার সর্বদা থাকে। এটা খায়ের চাচার বাবার আমল থেকেই। আভিজাত্য বলে কথা।
-কিরে বাবা রাতিন। আজকাল তো তোমার দেখা পাওয়া যায়
না। কই থাকো?
-জি চাচা। একটু ব্যস্ত। খুবই সমীহ করে কথা বলে।
লালু তোমারে কিছু কইছে?
-না চাচা। ও কিছু কয় নাই। জিগাইলে কয় চাচার মুখ থাইক্যা
শুইনো।
বলেন চাচা।
কি কমু কও! আজকাল পোলাপান মুরুব্বি মানে না। অনেকক্ষণ
খায়ের চাচা চুপ থাকলো। একটু পর খায়ের চাচা ঠুকরে কেঁদে ওঠলো। রাতিন উঠে গিয়ে খায়ের চাচাকে জড়িয়ে ধরলো।
-চাচা আপনি কাঁদবেন না, আমারে কন কি হইছে।
অনেকক্ষণ পর খায়ের চাচা স্বাভাবিক হলো। তুমি তো জান আমার ছেলেটা ইটালি থাকে। আর মাইয়াডা ঢাকায় পড়াশোনা করে। আমি এই তল্লাটে সকলের সুবিধা অসুবিধা দেখি। আমার যতটুকু সাধ্য আছে।
কম দেখান