কতদিন ধরে মাহেন্দ্রনাথ শবসাধনা করে! আঙুলে গুনে হিসেব রাখা সম্ভব না। ১৮৮২ সালের এক রাত... একটি মৃতদেহ। উলঙ্গ। মৃতদেহটি একজন নারীর। বয়স বেশি না, উনিশ-কুড়ির কাছাকাছি হবে। মাথায় চুলের ভাঁজে সিঁথিতে লেপটে আছে সিঁদুর।
মৃতদেহটিকে চিত করে শুইয়ে রাখা হয়েছে, দেহের ওপর সিদ্ধাসনে বসে আছে তান্ত্রিক মাহেন্দ্রনাথ। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে...
আরো পড়ুন
কতদিন ধরে মাহেন্দ্রনাথ শবসাধনা করে! আঙুলে গুনে হিসেব রাখা সম্ভব না। ১৮৮২ সালের এক রাত... একটি মৃতদেহ। উলঙ্গ। মৃতদেহটি একজন নারীর। বয়স বেশি না, উনিশ-কুড়ির কাছাকাছি হবে। মাথায় চুলের ভাঁজে সিঁথিতে লেপটে আছে সিঁদুর।
মৃতদেহটিকে চিত করে শুইয়ে রাখা হয়েছে, দেহের ওপর সিদ্ধাসনে বসে আছে তান্ত্রিক মাহেন্দ্রনাথ। বছরের বিশেষ বিশেষ দিনে তার দরকার পড়ে একটি লাশ। সেটি হিন্দু না কি মুসলিম, যুবক না যুবতী, বয়সে কাঁচা কি পৌঢ় তা জানার দরকার পড়ে না এই মানুষটার। তার দরকার শুধুই একটি মৃতদেহ।
মৃতদেহ ঘিরে একটি বৃত্ত আঁকা হয়েছে। বৃত্তের মাঝখানে আগুন জ্বলছে নিভু নিভু হয়ে। মাহেন্দ্রনাথের ডান হাতে রক্তজবা, বাঁ হাতে ছাই। নিচু স্বরে সে মন্ত্র পড়ছে, আর মাঝে মধ্যে সামনের পাত্রে রাখা ঘিয়ে চুবিয়ে নিচ্ছে জবা ফুল; এরপর অগ্নিকুণ্ঠে করছে ছাই নিক্ষেপ। তখন সঙ্গে সঙ্গেই চন্দনের গন্ধে চারদিকটা মোহিত হয়ে উঠছে, কিন্তু পরক্ষণেই গন্ধটা নেই হয়ে যাচ্ছে... স্থায়ী হচ্ছে না কোনোভাবেই।
কম দেখান