এই এলাকাটা ভূতের। এলাকায় রয়েছে পুরনো একটা পুকুর। পুকুরটি বিলের ঠিক মাঝামাঝি। চৈত্র-বৈশাখ মাসে পুকুরের তলদেশ শুকিয়ে যায়। পুকুরের এক পাড়ে আছে সাতটি তালগাছ। সাতটি তালগাছে ভয়ঙ্কর সব ভূতদের আস্তানা। এ কারণে এলাকাটির নাম ভূতএলাকা। দিনে-দুপুরেও এই এলাকায় আসতে ভয় পায় মানুষজন। যদি আসতেই হয়, দল বেঁধে, দু'চার-পাঁচজন একসাথে আসে।
ভূতএলাকার...
আরো পড়ুন
এই এলাকাটা ভূতের। এলাকায় রয়েছে পুরনো একটা পুকুর। পুকুরটি বিলের ঠিক মাঝামাঝি। চৈত্র-বৈশাখ মাসে পুকুরের তলদেশ শুকিয়ে যায়। পুকুরের এক পাড়ে আছে সাতটি তালগাছ। সাতটি তালগাছে ভয়ঙ্কর সব ভূতদের আস্তানা। এ কারণে এলাকাটির নাম ভূতএলাকা। দিনে-দুপুরেও এই এলাকায় আসতে ভয় পায় মানুষজন। যদি আসতেই হয়, দল বেঁধে, দু'চার-পাঁচজন একসাথে আসে।
ভূতএলাকার এক কিলোমিটার দূরত্বে পুব দিকে কেশাইর কান্দি, পশ্চিমে সিকির চর, দক্ষিণে বারআনি এবং উত্তরে সুগন্ধি গ্রাম।
ভয়ঙ্কর সব কাহিনির জনশ্রুতি রয়েছে এ এলাকা নিয়ে। এখানকার ভূতগুলো নাকি রগচটা, একগুয়ে টাইপের। ভূতগুলোর দয়ামায়া বলতে কিছু নেই। মানুষ পেলেই পানিতে নাকানিচুবানি দিয়ে মেরে ফেলে। কাদা মাটিতে কোমর অব্দি ডুবিয়ে রাখে। ঘাড় মটকে তাল গাছের আগায় ঝুলিয়ে রাখে। অর্থাৎ যাকে পায় তাকেই নানাভাবে হয়রানি করে। তবে ভূতের কবলে পড়ে কে কখন হয়রানি হয়েছে তার প্রত্যক্ষ প্রমাণ নেই কারো কাছে। সবই জনশ্রুতি।
এসব জনশ্রুতিতে বিশ্বাসী নয় বিন্দু। গোয়ার-গোবিন্দ টাইপের ছেলে। ভূতটুত একদম বিশ্বাস করে না। অবশ্য বিন্দুর ভূতে বিশ্বাস-অবিশ্বাস নিয়ে গাঁয়ের কারো মাথাব্যথা নেই। বরং বাঁকা সুরে অনেকেই বলে, ওর মতো দুষ্টু ছেলে ভূতটুত বিশ্বাস করলেই কী! না করলেই কী! ও নিজেই তো একটা ভূত। পাজি। মুরব্বি গোছের লোকদের কাছে বিন্দু দুষ্টের শিরোমণি। পাড়ার সব দুষ্টের লিডার। ঘটনার হোতা।
প্রতিদিন কোনো না কোনো পরিকল্পনা থাকে বিন্দুর। মাছ ধরা, পাখি শিকার কিংবা অন্য গ্রামের ছেলেদের সাথে হাডুডু, ফুটবল খেলার টিম ছাড়া। তার মানে একটা কিছু নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকে বিন্দু।
আজও তার পরিবর্তন ঘটেনি। আজ বন্ধুদের নিয়ে বৈঠকে বসেছে। বন্ধুদের মধ্যে রয়েছে হিরা, মিঠু, শান্ত ও সৌরভ। ওরা পরিকল্পনা করছে গ্রামের পশ্চিমে খালপাড়ের আলীর মার ছাড়াবাড়িতে বসে। ভয়ঙ্কর এক
কম দেখান