দোতলায় উঠতেই সেঁজুতি বিশাল লম্বা একজনকে দেখে থমকে দাঁড়ায়। তার পরনে তেমন পোশাক-আশাক নেই। শুধু কোমর থেকে হাঁটু অবধি ধুতির মতন করে এক টুকরো ময়লা কাপড় প্যাঁচানো। উচ্চতা প্রায় ছাদ ছুঁই ছুঁই। গায়ের রং কুচকুচে কালো, চোখ রক্তলাল, দুই ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসেছে ধারাল দাঁত, তীক্ষ্ণ নখ। কয়েক মুহূর্তের...
আরো পড়ুন
দোতলায় উঠতেই সেঁজুতি বিশাল লম্বা একজনকে দেখে থমকে দাঁড়ায়। তার পরনে তেমন পোশাক-আশাক নেই। শুধু কোমর থেকে হাঁটু অবধি ধুতির মতন করে এক টুকরো ময়লা কাপড় প্যাঁচানো। উচ্চতা প্রায় ছাদ ছুঁই ছুঁই। গায়ের রং কুচকুচে কালো, চোখ রক্তলাল, দুই ঠোঁটের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে এসেছে ধারাল দাঁত, তীক্ষ্ণ নখ। কয়েক মুহূর্তের জন্য সেঁজুতির চোখ যেন জমে যায়। সামনে দাঁড়ানো ভয়ংকর জন্তুটিও সেঁজুতিকে দেখে দাঁড়িয়ে আছে। সেঁজুতির দম বন্ধ হয়ে আসে। বিস্ফারিত চোখে দেখে জন্তুটির শরীর কালো পশমে ঢাকা। শরীরের বিভিন্ন জায়গায় বড় বড় শুকনো ক্ষত, থুতনির অংশজুড়ে জমাট বাঁধা রক্তের দাগ। সেঁজুতিকে দেখে গলা থেকে এক ধরনের চাপা গোঙানির শব্দ বের হচ্ছে। আতঙ্কে সেঁজুতির বুক চেপে আসে। হাত-পা কাঁপতে থাকে। নিজের অজান্তেই সেঁজুতির মুখ থেকে চিৎকার বের হয়। অয়ন দ্রুত উপরে উঠে আসে। অয়ন সেঁজুতিকে পাশ কাটিয়ে জন্তুটির সামনে গিয়ে দাঁড়ায়। জন্তুটি চুপচাপ সেঁজুতির পাশের কামরায় ঢুকে সজোরে দরজা লাগিয়ে দেয়। সেঁজুতি হুঁশ ফিরে পায়। দ্রুত নিজের কামরায় ঢুকে দরজা লাগিয়ে দেয়। সেঁজুতির মস্তিষ্কের ভিতরটায় ছটফট করে ওঠে, মরিয়া হয়ে যুক্তি খুঁজতে থাকে। তার মস্তিষ্কের যুক্তিবাদী জগৎটা যেন ক্রমশ ভেঙে পড়ছে। একটা নীরব চিৎকার যেন সেঁজুতির বুকের মধ্যে বারবার প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। সেঁজুতির বিশ্বাস হয়, যে জন্তুটিকে সে বাইরে দেখেছে, তা কোনো জন্তু নয়।
কম দেখান