কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক আছে। অনেকেই ভাবে, সাধারণ মস্তিষ্কে এটা বােঝা সহজ নয়। এর জন্য অতি মেধাবী হতে হবে। বিজ্ঞানী-টিজ্ঞানী আরকি। তাছাড়া দুর্বোধ্য গণিত না জনলে নাকি কোয়ান্টাম ফিজিক্স বােঝা অসম্ভব । অনেকে আবার মনে করেন, কোয়ান্টাম জগৎ বাস্তব জ্ঞানে বোেঝা সম্ভব নয়। এটা ঠিক, কোয়ান্টাম ফিজিক্স...
আরো পড়ুন
কোয়ান্টাম ফিজিক্স নিয়ে ছেলেমেয়েদের মধ্যে একধরনের আতঙ্ক আছে। অনেকেই ভাবে, সাধারণ মস্তিষ্কে এটা বােঝা সহজ নয়। এর জন্য অতি মেধাবী হতে হবে। বিজ্ঞানী-টিজ্ঞানী আরকি। তাছাড়া দুর্বোধ্য গণিত না জনলে নাকি কোয়ান্টাম ফিজিক্স বােঝা অসম্ভব । অনেকে আবার মনে করেন, কোয়ান্টাম জগৎ বাস্তব জ্ঞানে বোেঝা সম্ভব নয়। এটা ঠিক, কোয়ান্টাম ফিজিক্স বেশ জটিল। তবে দুর্বোধ্য নয়। চেষ্টা করলে স্কুলের গণিত আর বিজ্ঞানের জ্ঞান দিয়েই সেটা বােঝা সম্ভব। আমি জানি, এই কথাটা অনেকেই মানতে চাইবেন না। তাঁদের বলব দয়া করে বইটা শুরু থেকে শেষ করুন, আশা করি কোয়ান্টামের ধ্রুম্রজাল কেটে যাবে। অন্তত প্রাচীন কোয়ান্টাম বা কোয়ান্টাম তত্ত্ব কি, সেটা বুঝতে বেগ পেতে হবে না। আর এই বইটা পড়ার জন্য আপনাকে ক্যালকুলাস, টেন্সর বিশ্লেষণ, হ্যামিল্টনীয়ান গতিবিদ্যা, ফুরিয়ার ধারা এমনকি ম্যাটিক্স বলবিদ্যার দখল না থাকলেও চলবে। বাস্তব জগতের সাথে কোয়ান্টাম জগতের সাদৃশ্য তেমন নেই। তবু কিছু কিছু বিষয় বােঝাতে বাস্তব জগতের উদাহরণ টানা হয়েছে। উদ্দেশ্য, পাঠকের মনে কোয়ান্টাম জগতের একটা ছবি তৈরি করা। আর সেই ছবি দেখতে গিয়ে পাঠক কোয়ান্টাম জগৎ আর বাস্তব জগতকে মিলিয়ে ফেলবেন না বলেই আমার বিশ্বাস। বইটাতে শুধু প্রচীন কোয়ান্টাম আর কোয়ান্টাম বলবিদ্যা নিয়েই আলােচন করা হয়নি, কোয়ান্টামের ভীত কীভাবে তৈরি হলাে, কীভাবে জন্ম হলাে পূর্ণাঙ্গ কোয়ান্টাম তত্ত্বের, সেসবও তুলে আনার চেষ্টা করা হয়েছে গল্পের ঢংয়ে। তারপরও ভালাে-মন্দ যাচাইয়ের ভার পাঠকদের হাতে। কিছু ভুল-ত্রুটি হয়তাে রয়ে যাবে। তবে তথ্যগত ত্রুটি থাকলে, দয়া করে ই-মেইলে জানাবেন। আপনাদের মূল্যবানুমতমতই বইটির ভবিষ্যৎ সংস্করণ নির্ভল হতে সাহায্য করবে।
কম দেখান