১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তিকমিটির ইতিহাস লেখা খুবই কঠিন একটি কাজ। দলিলপত্র না থাকায় তা আরো কঠিন। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা বদল হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। এই সুযোগে প্রায় সব দলিলপত্রই বিনষ্ট করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে প্রায় সব দলিলপত্র...
আরো পড়ুন
১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তিকমিটির ইতিহাস লেখা খুবই কঠিন একটি কাজ। দলিলপত্র না থাকায় তা আরো কঠিন। মুক্তিযুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশে অসাংবিধানিকভাবে ক্ষমতা বদল হওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধবিরোধী শক্তি মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল। এই সুযোগে প্রায় সব দলিলপত্রই বিনষ্ট করে ফেলা হয়েছে। কিন্তু আশার কথা হচ্ছে প্রায় সব দলিলপত্র বিনষ্ট করে ফেলার পরও কুমিল্লায় একটি দলিল অজ্ঞাতসারে থেকে যায় ইতিহাসের মহার্ঘ উপাদান হিসেবে। এটি কুমিল্লা জেলা স্ক্রুটিনি কমিটির সভার কার্যবিবরণী। ৪৩ বছর পর এটি আবিষ্কৃত হয়। দলিলটি হাতে পাওয়ার পর মুক্তিযুদ্ধবিরোধীদের নিয়ে ইতিহাস লেখার অদম্য ইচ্ছাপূরণের পথ সুগম হয়। বিশিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক আবুল কাশেম হৃদয়ের সংগ্রহ এবং বিশ্লেষণে এই বইয়ে উঠে এসেছে বৃহত্তর কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও চাঁদপুর অঞ্চলের যুদ্ধাপরাধের প্রামাণ্যচিত্র। সঙ্গে সংযুক্ত বিরল আলোকচিত্র ‘অপারেশন কিল অ্যান্ড বার্ন’ বইটিকে মুক্তিযুদ্ধ গবেষণার অনন্য দলিলে রূপ দিয়েছে।
কম দেখান