ত্রয়ী নিয়ে কথা
আমার নাটকের প্রথম প্রকাশ নাট্যত্রয়ীতে। সে অনেককাল আগের কথা।
তিন দশক চলে গেছে। নাট্যত্রয়ী বইটি অনেকদিন ধরে পাওয়া যায় না।
যারা আমার নাটক নিয়ে উৎসাহী তারা বারবার তাগাদা দেন, নাট্যত্রয়ী আবার ছাপিয়ে দিতে। তাই নতুন করে নাট্যত্রয়ী বের হল। কিছু রদবদল করা হলো। হরিণ চিতা চিল এ ত্রয়ী থেকে বাদ...
আরো পড়ুন
ত্রয়ী নিয়ে কথা
আমার নাটকের প্রথম প্রকাশ নাট্যত্রয়ীতে। সে অনেককাল আগের কথা।
তিন দশক চলে গেছে। নাট্যত্রয়ী বইটি অনেকদিন ধরে পাওয়া যায় না।
যারা আমার নাটক নিয়ে উৎসাহী তারা বারবার তাগাদা দেন, নাট্যত্রয়ী আবার ছাপিয়ে দিতে। তাই নতুন করে নাট্যত্রয়ী বের হল। কিছু রদবদল করা হলো। হরিণ চিতা চিল এ ত্রয়ী থেকে বাদ দিয়ে বর্ণচোরা দেয়া হল।
বর্ণচোরার মেজাজ আর দুটো নাটকের সংগে মেলে।
সংলাপে কিছু কিছু সংস্কারও করা হল। 'ফলাফল নিম্নচাপ' নাটকে বেশি করা হল।
নাট্যত্রয়ীর প্রচ্ছদ এঁকে দিয়েছিলেন প্রিয় শিল্পী নিতুন কুণ্ডু। আরো একটি বই স্বাধীনতা আমার স্বাধীনতার প্রচ্ছদও তিনি করে দিয়েছিলেন।
এমন নিটোল কাজ খুব পাইনে।
নিতুন দা চলে গেলেন। কাঁদিয়ে গেলেন। নতুন করে নাট্যত্রয়ীতে তাঁর সেই মন কাড়া প্রচ্ছদ রেখে দিলাম।
এ ত্রয়ীর প্রথম প্রকাশের কাজটি করে দিয়েছিলেন আমাদের সবার প্রিয় মুক্তধারার স্বত্ত্বাধিকারী চিত্তরঞ্জন সাহা। বাংলাদেশের সাহিত্যের প্রকাশনাকে তিনি মজবুত ভূমি দিয়ে গেছেন। নাট্যত্রয়ীর দ্বিতীয় মুদ্রণের কালে বার বার তাঁর কথা মনে পড়ছে। আমি তাঁর আত্মার প্রশান্তি কামনা করছি।
নতুন করে নাট্যত্রয়ী প্রকাশ করার জন্য বিশ্বসাহিত্য ভবনকে অনেক কৃতজ্ঞতা। আমার প্রিয় নাট্যকর্মিদের জন্য অবিরাম শুভেচ্ছা ও ভালবাসা-
ঢাকা,
১১ জ্যৈষ্ঠ, ১৪১৫
মমতাজউদদীন আহমদ
কম দেখান