নাট্য বা থিয়েটার দৃশ্যশিল্প। দেখা ছাড়া নাট্যশিল্পের রসাস্বাদন সম্ভব নয়। বাংলাদেশে প্রায় আঠারো কোটি জনগণের মধ্যে কতজন মঞ্চে এসে দুঘণ্টা বসে নাটক দেখে। আবার পূর্ব নাটকের প্রয়োগ-নিরীক্ষার রূপরেখা তথ্যবদ্ধ না থাকায় নতুন নাট্যকর্মী সে অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হয়। পরিবেশনা গবেষণার উপাত্ত প্রাপ্তি খুবই দুরূহ। প্রবাসী বাঙালিরাও বাংলাদেশের নাট্যচর্চা সম্পর্কে জানতে...
আরো পড়ুন
নাট্য বা থিয়েটার দৃশ্যশিল্প। দেখা ছাড়া নাট্যশিল্পের রসাস্বাদন সম্ভব নয়। বাংলাদেশে প্রায় আঠারো কোটি জনগণের মধ্যে কতজন মঞ্চে এসে দুঘণ্টা বসে নাটক দেখে। আবার পূর্ব নাটকের প্রয়োগ-নিরীক্ষার রূপরেখা তথ্যবদ্ধ না থাকায় নতুন নাট্যকর্মী সে অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হয়। পরিবেশনা গবেষণার উপাত্ত প্রাপ্তি খুবই দুরূহ। প্রবাসী বাঙালিরাও বাংলাদেশের নাট্যচর্চা সম্পর্কে জানতে চায়। সে প্রেক্ষিতেই গবেষক, নতুন প্রজন্ম ও অনুসন্ধিৎসু পাঠকের কাছে গত একযুগের থিয়েটারের অভিজ্ঞতা সঞ্চরণ করাই এ গ্রন্থের উদ্দেশ্য। এ গ্রন্থভুক্ত নাট্যগুলোর প্রযোজনাকাল বাংলা নাট্য আন্দোলনের পুরোধা সেলিম আল দীনের তিরোধানের পর থেকে সম্প্রতি পর্যন্ত। এ সময়ে আলোচিত থিয়েটারগুলোর মধ্যে ত্রিশটি প্রযোজনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এ গ্রন্থে। প্রবন্ধগুলো ‘কালি ও কলম’, ‘উত্তরাধিকার’ ‘ফোকলোর পত্রিকা’ ‘তীরন্দাজ’, ‘প্রাককথন’, ‘অনুপ্রাণন’, ‘পরস্পর’ প্রভৃতি সাহিত্য-নাট্যপত্রে নানা সময়ে প্রকাশিত। পরিবেশনা গবেষণার বর্ণনাত্মক ভঙ্গিতে প্রতিটি নাটকের বিষয়বস্তু, উপস্থাপন প্রক্রিয়া, অভিনয়-সংলাপ-আলো-পোশাক-মঞ্চ, নান্দনিকতা ও দর্শক উপযোগিতাসহ নাট্যীয় নানা উপকরণ সম্পর্কে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে আলোচনা করা হয়েছে। এ গ্রন্থের প্রতিটি প্রবন্ধ নাট্য প্রযোজনা সম্পর্কে যেমন ধারণা দিবে তেমনি বাংলাদেশের সমকালীন নাট্যচর্চার ধরন-বৈচিত্র্য সম্পর্কে একটি রূপরেখা অনুধাবনে সাহায্য করবে।
কম দেখান