ছন্দ নিয়ে তাহমিনা নিশার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং কবিতায় তার চিত্রকল্পের বহুমুখীতা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। চিত্রকল্প নির্মাণে তার দক্ষতা উল্লেখ করার মতো। তার কবিতাগুলো ছোট-ছোট গুচ্ছ চিত্রকল্পের সমন্বয়ে গঠিত। এদিক থেকে তাহ্মিনা নিশার কবিতাগুলো অন্য দশজন কবির কবিতা থেকে একটু স্বতন্ত্র।
তাহ্মিনা নিশার কবিতাগুলো পড়লে মনে হয়, তিনি ছন্দ-প্রয়োগে বেশ সচেতন। এই ধরনের ছন্দ-সচেতনতা...
আরো পড়ুন
ছন্দ নিয়ে তাহমিনা নিশার পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং কবিতায় তার চিত্রকল্পের বহুমুখীতা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। চিত্রকল্প নির্মাণে তার দক্ষতা উল্লেখ করার মতো। তার কবিতাগুলো ছোট-ছোট গুচ্ছ চিত্রকল্পের সমন্বয়ে গঠিত। এদিক থেকে তাহ্মিনা নিশার কবিতাগুলো অন্য দশজন কবির কবিতা থেকে একটু স্বতন্ত্র।
তাহ্মিনা নিশার কবিতাগুলো পড়লে মনে হয়, তিনি ছন্দ-প্রয়োগে বেশ সচেতন। এই ধরনের ছন্দ-সচেতনতা আজকাল কবিদের মধ্যে দেখা যায় না। তাহমিনা নিশার কবিতার আঙ্গিক ও গঠনেও ভিন্নতা দেখা যায়। শব্দ-ব্যবহারে তার পরিমিতিবোধ তার কবিতাগুলোকে আরো সমৃদ্ধ করেছে।
তাঁর কবিতার বই ‘জুলাই ছত্রিশ’ পাঁচ মাত্রার মাত্রাবৃত্তের ছন্দে লেখা একটি কবিতার বই। খুব-সম্ভবত এটি বাংলা সাহিত্যের প্রথম বই, যে-কবিতার বইটি শুধুমাত্র পাঁচ মাত্রার মাত্রাবৃত্ত ছন্দে লেখা। বাংলা সাহিত্যে এই ছন্দে খুব সামান্য পরিমাণ কবিতা লেখা হয়েছে। শুধুমাত্র পাঁচ-মাত্রার মাত্রাবৃত্তের কবিতা দিয়ে একটি বই করা সত্যিই সাহসিকতার দাবি করে। কবিতাগুলো বেশ মিষ্টি এবং উপভোগ্য।
কম দেখান