কবিতা এমন এক শিল্প, যা ক্রমশই সূক্ষ্ম অনুভূতির সারাৎসার হয়ে জীবন ও অনুভূতির জগৎকে বিস্ময়কর এক আবর্তের মধ্যে ঘুরপাক খেতে বাধ্য করে। কবির একান্ত নিজস্ব জগতে আবর্তিত হতে থাকে স্মৃতিসিক্ত ও স্মৃতিদগ্ধ এমন সব অনুভূতি, যা তাকে কখনো কাতর আর্তনাদে উদ্বেল করে, কখনো আবার আনন্দময় আবেগের উত্তাল প্রবাহে উন্মাতাল করে...
আরো পড়ুন
কবিতা এমন এক শিল্প, যা ক্রমশই সূক্ষ্ম অনুভূতির সারাৎসার হয়ে জীবন ও অনুভূতির জগৎকে বিস্ময়কর এক আবর্তের মধ্যে ঘুরপাক খেতে বাধ্য করে। কবির একান্ত নিজস্ব জগতে আবর্তিত হতে থাকে স্মৃতিসিক্ত ও স্মৃতিদগ্ধ এমন সব অনুভূতি, যা তাকে কখনো কাতর আর্তনাদে উদ্বেল করে, কখনো আবার আনন্দময় আবেগের উত্তাল প্রবাহে উন্মাতাল করে তোলে। কবির ভেতরে তখন এক ঘোরলাগা আবেশের আচ্ছন্নতা তাকে সৃষ্টিশীলতার বহুমুখী পর্যটনে প্ররোচিত করে। আহসান হাবিবের কবিতা এসব সত্যকে ধারণ করে হয়ে উঠেছে হৃদয়ের কবিতা, নস্টালজিক শৈশবের অথবা আত্মগত প্রেমের হৃদয়মথিত অনুরাগের এক প্রিয়তর কীর্তিগাথা। কিন্তু কবি হিসেবে তিনি ভুলে যাননি তার সামাজিক কিংবা সংকটকালীন কাব্যিক দায়বদ্ধতার কথা। তাই তিনি তাঁর তেমন আবেগকেও সঞ্চারিত করেছেন ব্যক্তিক অনুভবের নিটোল অনুগ্রহের মধ্যে। আহসান হাবিবের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘হারিয়ে যাওয়া পায়ের চিহ্ন’-তে তারই কৃত্যদ্যুতির অভিসার আমাদের দৃষ্টির অগোচর থাকে না। তাতে আরও স্পষ্ট হয়, কবি হিসেবে তিনি কতটা নিবেদিত ও দক্ষ।
কম দেখান