সৃষ্টির সূচনা থেকেই মানুষ স্বাভাবিকভাবেই জগৎ ও জীবনের মাঝে এক অখণ্ড সত্যকে জানতে চায়। এই কৌতূহলের কারণেই জগৎ ও জীবন নিয়ে মানুষের মনে উদ্ভব হয়েছে নানা প্রশ্ন। এই প্রশ্নগুলোর বুদ্ধিদীপ্ত ও সন্তোষজনক উত্তর দানের চেষ্টার নাম হলো দর্শন। আর যারা জগৎ ও জীবন সম্পর্কে অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে চিন্তাভাবনার গভীরে প্রবেশ...
আরো পড়ুন
সৃষ্টির সূচনা থেকেই মানুষ স্বাভাবিকভাবেই জগৎ ও জীবনের মাঝে এক অখণ্ড সত্যকে জানতে চায়। এই কৌতূহলের কারণেই জগৎ ও জীবন নিয়ে মানুষের মনে উদ্ভব হয়েছে নানা প্রশ্ন। এই প্রশ্নগুলোর বুদ্ধিদীপ্ত ও সন্তোষজনক উত্তর দানের চেষ্টার নাম হলো দর্শন। আর যারা জগৎ ও জীবন সম্পর্কে অনুসন্ধিৎসু মন নিয়ে চিন্তাভাবনার গভীরে প্রবেশ করেন তারা হলেন দার্শনিক।
পৃথিবীতে খুব অল্প সংখ্যক মানুষ আছেন যারা জগৎ ও জীবনের মৌলিক বিষয়গুলোর ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে সুচিন্তিত ও সুনির্দিষ্ট দার্শনিক মত বা দৃষ্টিভঙ্গি তৈরি করেন। ড. আবদুল মতীন সেই অল্প সংখ্যক মানুষদের মধ্যে একজন যিনি নিজের ভাবনাচিন্তা, অন্যের মধ্যে জাগ্রত করেন এবং নিজের দার্শনিক দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে অন্যকে আলোকিত ও আলোড়িত করেন। তাঁর দর্শনচর্চার মূলে রয়েছে তাত্ত্বিক অনুসন্ধান যা উন্মোচিত হয়েছে তাঁর লেখা বিভিন্ন দার্শনিক গ্রন্থ ও লেখালেখিতে। তাঁর প্রায় সব লেখা ও বক্তৃতায় সমকালীন পাশ্চাত্য দর্শনের যুক্তি বিচার বিশ্লেষণী চিন্তা পদ্ধতির ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
ড. আবদুল মতীনের ‘দর্শন সাহিত্য ও সংস্কৃতি’ নামে গ্রন্থখানা মূলত তাঁর সংকলিত আকারে প্রকাশিত গ্রন্থ।
এই গ্রন্থের কিছু লেখা প্রবন্ধাকারে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় ও জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। প্রবন্ধগুলোর মধ্যে কিছু আছে বিভিন্ন সেমিনারে দেওয়া তাঁর বক্তৃতা। প্রবন্ধগুলোতে বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর নিজস্ব কিছু মতামত তিনি সাবলীলভাবে ব্যক্ত করেছেন। কিছু জায়গায় তিনি গবেষণাধর্মী কিছু মতামতও উপস্থাপন করেছেন। সংকলিত গ্রন্থটি জ্ঞানপিপাসু সকল পাঠকের জ্ঞান অন্বেষণে নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে আশাবাদী।
কম দেখান