ধর্ম-সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দিন-তারিখ নির্ধারণ অসম্ভব। স্বার্থ বা সুবিধার বিলি-বণ্টন নিয়ে এর সূত্রপাত হতে পারে; প্রথমে মনে, পর্যায়ক্রমে বিষফল পরিপুষ্ট হয় কথায়, আচরণে বা সংঘটিত রক্তপাতে। বিবাদ বা সংঘাত দৃশ্যমান হওয়ার বহু আগেই পরস্পরের মৃত্যু ঘটে মনে। জীবনানন্দের ভাষায়, ‘দেহ ঝরে, তার আগে আমাদের ঝরে যায় মন!' আমরা বিবাদ দেখি, দেখি...
আরো পড়ুন
ধর্ম-সাম্প্রদায়িক সহিংসতার দিন-তারিখ নির্ধারণ অসম্ভব। স্বার্থ বা সুবিধার বিলি-বণ্টন নিয়ে এর সূত্রপাত হতে পারে; প্রথমে মনে, পর্যায়ক্রমে বিষফল পরিপুষ্ট হয় কথায়, আচরণে বা সংঘটিত রক্তপাতে। বিবাদ বা সংঘাত দৃশ্যমান হওয়ার বহু আগেই পরস্পরের মৃত্যু ঘটে মনে। জীবনানন্দের ভাষায়, ‘দেহ ঝরে, তার আগে আমাদের ঝরে যায় মন!' আমরা বিবাদ দেখি, দেখি রক্তপাত বা মৃত্যু, মানুষের মনের মৃত্যুর খোঁজ কেউ রাখতে চাই না। মানুষে-মানুষে অতল বিরাগে জন্ম হয় সহিংসতা বা দাঙ্গা। অথচ চিহ্নিত সমাজ, সংঘ বা দল গঠন করে তুলনামূলকভাবে বুদ্ধিমান মানুষ । ভারতবর্ষে বিশেষত বাংলায় উনিশ ও বিশ শতকের সংঘটিত পারস্পরিক সংঘাতের সমাজমনস্তত্ত্ব ব্যাখ্যা করলে সহজেই এর পরিচয় পাওয়া যাবে। শিক্ষিত, যুক্তিবাদী, জাতীয়তাবোধ সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গই সংঘাতের মূলে । তবে কি আমাদের শিক্ষা, যুক্তি ও জাতীয়তাবোধে সমস্যা আছে? এই প্রশ্ন এবং এর উত্তর নিয়েও শুরু হতে পারে দাঙ্গা অর্থাৎ ভেঙে যেতে পারে যুক্তির শৃঙ্খলা। এমন ভাবা স্বাভাবিক যে, উনিশ-বিশ শতকের 'ভদ্রলোকে'রা, হিন্দু-মুসলমান নির্বিশেষে শিক্ষিতই ছিলেন বর্তমানের মতো।
কম দেখান