মেঘনাদ সাহা
জন্ম, ১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর বর্তমান গাজীপুর জেলার কালিয়কৈর উপজেলার শেওড়াতলী গ্রামে। সাহা প্রতিদিন দশ কিলোমিটার হেঁটে শিমুলিয়া গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে যেতেন। সাহার বাবা ছিলেন খুব গরিব। অনন্ত কুমার দাস নামের এক ভদ্রলোকের দয়ায় লেখাপড়াটা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পেরেছিলেন মেঘনাদ। শিমুলিয়া স্কুল থেকে নিম্ন মাধ্যমিক পাশ করার...
আরো পড়ুন
মেঘনাদ সাহা
জন্ম, ১৮৯৩ সালের ৬ অক্টোবর বর্তমান গাজীপুর জেলার কালিয়কৈর উপজেলার শেওড়াতলী গ্রামে। সাহা প্রতিদিন দশ কিলোমিটার হেঁটে শিমুলিয়া গ্রামের প্রাইমারি স্কুলে যেতেন। সাহার বাবা ছিলেন খুব গরিব। অনন্ত কুমার দাস নামের এক ভদ্রলোকের দয়ায় লেখাপড়াটা শেষ পর্যন্ত চালিয়ে যেতে পেরেছিলেন মেঘনাদ। শিমুলিয়া স্কুল থেকে নিম্ন মাধ্যমিক পাশ করার পর ভর্তি হন সদরঘাটের ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে। এই স্কুলে অধ্যায়নকালে ব্রিটিশ-বিরোধী আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন সাহা। ফলে তাঁকে স্কুল থেকে বহিষ্কার করা হয়। একদিন পরেই ভর্তি হন, কিশোরীলাল জুবলি স্কুলে। সেখান থেকে প্রবেশিকা পরিক্ষায় অংশ নিয়ে পূর্ববঙ্গের মধ্যে প্রথমস্থান লাভ করেন। তারপর ঢাকা কলেজ আইএসসি তে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম স্থান লাভ করেন। তারপর ভর্তি হলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখান থেকে বিএসসি-তে গণিতে অনার্সসহ তৃতীয় এবং এমএসসিতে মিশ্র গণিতে দ্বিতীয় স্থান লাভ করেন। ১৯২০ সালে সাত্র ২৭ বছর বয়সে প্রকাশিত হয় তার তাপ-আয়নন তত্ত্ব। রাতারাতি বিখ্যাত বনে যান মেঘনাদ।
১৯৫৬ সালের ১৬ ফেব্রয়ারি মহান এই জোর্তিবিদের জীবনাবসান হয়।
উপমহাদেশের বিখ্যাত বিজ্ঞানী মেঘনাদ সাহা শুধু গবেষণাই করেননি, লেখালেখিতেও তাঁর মুন্সিয়ানা ছিল সমান। তিনি সে সময়কার পত্রিকায় লিখেছেন নানা বিষয়েÑদেশচিন্তা, সামাজিক সচেতনতা, কুসংস্কারের ব্যাখ্যা। বিজ্ঞানী মানুষ, তাই বিজ্ঞান বিষয়ক লেখালেখিও করেছিলেন। মেঘনাদ সাহার তাঁর জীবদ্দশায় বিজ্ঞানবিষয়ক যত লেখালেখি করেছেন, সেগুলোর সংকলিত করে দুই মলাটে আবদ্ধ হয়েছে এই বইয়ে।
কম দেখান