দেবী শর্মা খুব বেশি লেখেননি, কিন্তু পত্রিকান্তরে যখনই তাঁর গল্প পড়েছি, এর আটপৌরে ভাব ও জীবনচিত্রায়ণে অন্যতর অবলোকন যুগিয়েছিল মুগ্ধতা। গ্রন্থভুক্ত প্রায় সব গল্পই নারীকেন্দ্রিক, নারীর চোখেই তিনি দেখেছেন চারপাশ, সেই দেখা ও গল্পবলার সহজিয়া ভঙ্গি পাঠককে আকর্ষণ করবে নিঃসন্দেহে।
আর দুই দীর্ঘ রচনা ‘রাশিয়ায় ঘরগেরস্থি’ এবং ‘আমার মুক্তিযুদ্ধ’...
আরো পড়ুন
দেবী শর্মা খুব বেশি লেখেননি, কিন্তু পত্রিকান্তরে যখনই তাঁর গল্প পড়েছি, এর আটপৌরে ভাব ও জীবনচিত্রায়ণে অন্যতর অবলোকন যুগিয়েছিল মুগ্ধতা। গ্রন্থভুক্ত প্রায় সব গল্পই নারীকেন্দ্রিক, নারীর চোখেই তিনি দেখেছেন চারপাশ, সেই দেখা ও গল্পবলার সহজিয়া ভঙ্গি পাঠককে আকর্ষণ করবে নিঃসন্দেহে।
আর দুই দীর্ঘ রচনা ‘রাশিয়ায় ঘরগেরস্থি’ এবং ‘আমার মুক্তিযুদ্ধ’ আত্মজৈবনিক লেখা, ইতিহাসের দুই বিশাল ঘটনাপ্রবাহের সাক্ষ্যবহ। মস্কোতে দুই যুগের বেশি অবস্থান করেছেন দেবী শর্মা, সেই সময়প্রবাহে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ পরাশক্তি হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়নের দোর্দণ্ড প্রতাপ এবং এর অভাবিত বিলোপ, দুইয়েরই প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন তিনি। তাঁর এই দেখা সাংসারিক জীবনের বৃত্ত থেকে; গৃহকোণে ছিলেন বটে, তবে সে-গৃহ ছিল বাংলার অনেক নামীদামি মানুষ ও অগণিত নবীন-নবীনার পদপাতে মুখর। তিনি সমাজ-ইতিহাসের পালাবদল নিয়ে লেখেননি, সাধারণ মানুষের আনন্দ-বেদনা-আকুতি নিয়েই হাজির করেছেন ঘরগেরস্থির বয়ান। সংকলিত গ্রন্থের অবিস্মরণীয় রচনা ‘আমার মুক্তিযুদ্ধ’, ঠাঁই পেয়েছে শুরুতে। দীর্ঘ এই রচনায় মুক্তিযুদ্ধকালে পাকবাহিনীর নিষ্ঠুরতা এবং মিলনে-মিশ্রণে গড়ে-ওঠা বাঙালি কৌমসমাজের বিশিষ্টতা ফুটে উঠেছে বয়ানের সূত্রে।
কম দেখান