'নিজ শাশুড়িকে আসিতে দেখিয়া কাপড়ের আঁচলে ভাতের কষ্ট মুছিলেন রহিম চাচার বউ। এই লুকানো কষ্ট যে বিয়ের পরপরই শাড়ির আঁচলে বাঁধিয়া দিয়াছেন তাহার পিতা। যেই আঁচলে চাবির গোছা বাঁধিয়া, ঘুরিবার স্বপ্ন নিয়া আসা কিশোরীর আশার সংসারে জুটিল আহাল। চাবির গোছা বাঁধিবার আঁচল হইল দুঃখ লুকাইবার পাত্র। যেই পাত্র সংসারের শুরু...
আরো পড়ুন
'নিজ শাশুড়িকে আসিতে দেখিয়া কাপড়ের আঁচলে ভাতের কষ্ট মুছিলেন রহিম চাচার বউ। এই লুকানো কষ্ট যে বিয়ের পরপরই শাড়ির আঁচলে বাঁধিয়া দিয়াছেন তাহার পিতা। যেই আঁচলে চাবির গোছা বাঁধিয়া, ঘুরিবার স্বপ্ন নিয়া আসা কিশোরীর আশার সংসারে জুটিল আহাল। চাবির গোছা বাঁধিবার আঁচল হইল দুঃখ লুকাইবার পাত্র। যেই পাত্র সংসারের শুরু হইতে আজ অব্দি পূর্ণ হয় নাই, এই জীবনে হইবে কি না, তাহাও ভাবিতে পারেন না!'
শিল্প-সাহিত্যের ভূমি ময়মনসিংহের বুক চিরে বয়ে চলেছে ব্রহ্মপুত্র নদ। যাকে আঁকড়ে ধরে জনবসতি গড়ে তুলেছে এই অঞ্চলের মানুষ। সেই রকম এক জনবসতিপূর্ণ গ্রামের নাম চররাঘবপুর। বৃহত্তর এই গ্রামের ইতিহাস তেমন পাওয়া যায় না লিখিতরূপে। কিন্তু এই জনজীবনে অসংখ্য গল্পকাহিনি লোকমুখে কেচ্ছাকাহিনি হয়ে বেঁচে রয়েছে মানুষের মাঝে। সেই সূত্র ধরে লেখার যাত্রা, এভাবেই লেখা শেষ হয় 'আহাল' উপন্যাস। এই উপন্যাসে প্লট নেওয়া হয়েছে স্বাধীনতাযুদ্ধের পরবর্তী সময়কাল হইতে আরম্ভ করিয়া আশির দশকের শুরুর দিক পর্যন্ত। পাঠকগণ এই উপন্যাস পাঠের মাধ্যমে এই অঞ্চলের সেই সময়কালের (বিশেষ করে ১৯৭২-১৯৮০ সাল) এবং জনজীবন সম্পর্কে জানিতে পারবেন।
কম দেখান