’ভূমি ও কুসুম’ ছিটমহলের পটভূমিতে লেখা উপন্যাস। বাংলা সাহিত্যে ছিটমহল নিয়ে উপন্যাস লেখা হয়েছে কিনা তা কোনো না কোনো পাঠক হয়তো বলতে পারবেন। কিন্তু প্রকাশক হিসেবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এখন পর্যন্ত এ বিষয়টি নিয়ে লেখা উপন্যাসের কথা এ দেশের অনেকেই জানেন না। বলার সাহস রাখি যে ‘ভূমি ও কুসুম’ এই...
আরো পড়ুন
’ভূমি ও কুসুম’ ছিটমহলের পটভূমিতে লেখা উপন্যাস। বাংলা সাহিত্যে ছিটমহল নিয়ে উপন্যাস লেখা হয়েছে কিনা তা কোনো না কোনো পাঠক হয়তো বলতে পারবেন। কিন্তু প্রকাশক হিসেবে খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এখন পর্যন্ত এ বিষয়টি নিয়ে লেখা উপন্যাসের কথা এ দেশের অনেকেই জানেন না। বলার সাহস রাখি যে ‘ভূমি ও কুসুম’ এই বিষয়ের প্রথম উপন্যাস।
বাংলাদেশ ও ভারতের ছিটমহলগুলো দু’দেশের সীমান্ত এলাকায় অবস্থিত। একটি ছিটমহল অন্য রাষ্ট্র দ্বারা পরিবেষ্টিত থাকে। তাই ছিটের মানুষেরা এক ধরনের বন্দি জীবনযাপন করে। কারণ তার নিজের রাষ্ট্রে যেতে হলে তাকে অন্য রাষ্ট্রের সীমানা পার হতে হয়। কিন্তু সীমানা পার হওয়ার জন্য যে অনুমতি দরকার সেটি সহজে পাওয়া যায় না। ফলে ছিটের বাসিন্দারা নিজ রাষ্ট্রের সুযোগ-সুবিধা পাওয়া থেকে প্রায়শ বঞ্চিত হয়।
তারপরও এইসব মানুষের গল্প আছে। এই উপন্যাস সেইসব মানুষের গল্প-যারা চলমান জীবনস্রোতে অনবরত জায়গা পূরণ করে গল্পের দাবার ঘুঁটির ছক বদলায়।
ছিটমহলের জীবনে রাষ্ট্র, সীমান্ত, সীমান্তরক্ষীরা সাধারণ মানুষের জীবনকে নানাভাবে নিয়ন্ত্রণ করে। এ উপন্যাসে সেই আন্ত:সম্পর্ক ধরার চেষ্টা করেছেন লেখক- যেখানে মানুষ শুধুই একজন ব্যক্তি নয়, তার ব্যক্তিগত ভালোমন্দকে সে নিয়ন্ত্রিত হতেও দেখে।
ব্যক্তিগত সম্পর্ক কতটা রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পীড়িত সে গল্পই পাওয়া যায় ভূমি ও কুসুম উপন্যাসে। উপন্যাসের শিল্পের ব্যাখ্যা ছুঁয়ে থাকে মানুষের জীবনে।
কম দেখান