বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্টর হুগোর হান্সব্যাক অব নটরডেম উনিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ১৮৩১ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটি মধ্যযুগীয় প্যারিস শহরের প্রেক্ষাপটে রচিত এবং নটরডেম ক্যাথেড্রালকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। কাহিনির প্রধান চরিত্র কোয়াসিমোদো এক কুৎসিত কিন্তু দয়ালু হৃদয়ের ঘণ্টাবাদক, যাকে সমাজ তার বিকলাঙ্গ চেহারার জন্য ঘৃণা করলেও সে অন্তরে অত্যন্ত...
আরো পড়ুন
বিখ্যাত ফরাসি সাহিত্যিক ভিক্টর হুগোর হান্সব্যাক অব নটরডেম উনিশ শতকের অন্যতম শ্রেষ্ঠ উপন্যাস। ১৮৩১ সালে প্রকাশিত এই উপন্যাসটি মধ্যযুগীয় প্যারিস শহরের প্রেক্ষাপটে রচিত এবং নটরডেম ক্যাথেড্রালকে কেন্দ্র করে আবর্তিত। কাহিনির প্রধান চরিত্র কোয়াসিমোদো এক কুৎসিত কিন্তু দয়ালু হৃদয়ের ঘণ্টাবাদক, যাকে সমাজ তার বিকলাঙ্গ চেহারার জন্য ঘৃণা করলেও সে অন্তরে অত্যন্ত মানবিক। সে গভীরভাবে ভালোবাসে এসমেরেলদা নামে এক সুন্দরী জিপসি নর্তকীকে, যাকে মিথ্যা অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। অন্যদিকে ধর্মযাজক ক্লঁদ ফ্রোলোও এসমেরেলদার প্রতি মোহাবিষ্ট হয়ে পড়ে এবং তাকে পাওয়ার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে। কাহিনিতে প্রেম, ঘৃণা, ঈর্ষা, ধর্মান্ধতার পাশাপাশি সামাজিক অবিচার প্রবলভাবে প্রকাশ পায়। হুগো এই উপন্যাসের মাধ্যমে শুধু এক করুণ প্রেমকাহিনি নয়, বরং তৎকালীন সমাজের নিষ্ঠুরতা ও মানবিক মূল্যবোধের অভাবকেও ফুটিয়ে তুলেছেন। পাশাপাশি তিনি নটরডেম ক্যাথেড্রালের শৈল্পিক গৌরব ও স্থাপত্যিক গুরুত্বকেও উজ্জ্বলভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা পরবর্তীতে এই ঐতিহাসিক স্থাপনাটিকে সংরক্ষণের আন্দোলনেও বড় ভূমিকা রাখে। উপন্যাসটি প্রকাশের পর বিপুল জনপ্রিয়তা পায় এবং বহু ভাষায় অনূদিত হয়। আজও এটি বিশ্বসাহিত্যের এক অনন্য সম্পদ, যা মানুষের হৃদয়ে মানবতা, করুণা ও ভালোবাসার বীজ বপন করে চলেছে।
কম দেখান