গ্রেগর সামসা নামে এক যুবক বিক্রেতার গল্প এটা। সামসা একজন ভ্রাম্যমান বিক্রেতা। একদিন তার জীবনে একটা অদ্ভুত কাণ্ড ঘটে গেল। কোনও এক ভোরে ঘুম ভাঙে তার অদ্ভুত এক অনুভূতিতে। রাতারাতি এক মহাপরিবর্তন ঘটে গেছে তার শরীরে। সে মস্ত এক ছপেয়ে পোকায় রূপান্তরিত হয়ে গেছে। ফলে সে হারিয়েছে তার স্বাভাবিক চলাফেরার...
আরো পড়ুন
গ্রেগর সামসা নামে এক যুবক বিক্রেতার গল্প এটা। সামসা একজন ভ্রাম্যমান বিক্রেতা। একদিন তার জীবনে একটা অদ্ভুত কাণ্ড ঘটে গেল। কোনও এক ভোরে ঘুম ভাঙে তার অদ্ভুত এক অনুভূতিতে। রাতারাতি এক মহাপরিবর্তন ঘটে গেছে তার শরীরে। সে মস্ত এক ছপেয়ে পোকায় রূপান্তরিত হয়ে গেছে। ফলে সে হারিয়েছে তার স্বাভাবিক চলাফেরার স্বাধীনতা ও বাকসক্ষমতা। ক্রমে সে দেখল তার পরিবারের প্রাণপ্রিয় সদস্যরা একে একে অনেকটা অসচেতনভাবেই সংসারের এই হঠাৎ করে বদলে যাওয়া সদস্য কিম্ভুত পোকাটির প্রতি বিরক্ত হয়ে উঠেছে। তার বোন গ্রেটে, এমনকী বাবা-মা, এরা সামসার আয়ের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এখন বাস্তবতা ভিন্ন। সে সক্ষম এক সদস্যর পরিবর্তে হয়ে গেছে ভীষণভাবে পরনির্ভরশীল অক্ষম এক প্রাণীতে। শারীরিক রূপান্তরের ছোঁয়া সামসার মনে তেমন সঞ্চারিত হতে পারেনি। সে তখনও স্বাভাবিক মানুষের মতো চিন্তা করতে পারছে, পারছে বিচার ও বিবেচনা করতে। ফলে সে তার চারপাশে তাকে ঘিরে পরিবারের সদস্যদের সদয় আচরণ ও সহযোগিতার হাতকে চোখের সামনেই বদলে যেতে দেখলো। যে বোন তার দেখভালের দায়িত্ব স্বেচ্ছায় নিজের উপর তুলে নিয়েছিল সে-ই একসময় বিরক্তির চরমে পৌঁছে গেল।
এই গল্পের উপজীব্য হয়েছে সমাজ বা পরিবার খুব সূক্ষ্মভাবে বিভাজিত হয়ে যাওয়া, পরষ্পর বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়া ও মনের মধ্যে অপরাধবোধের টানাপোড়েন ও আধুনিক সমাজের অপসৃয়মাণ মানবিকতা, ইত্যাদি।
কম দেখান