মাহাদ প্রেমপত্র পাঠিয়েছে, যেটা ছিল আমার কল্পনারও বাহিরে। বয়স বিবেচনা করলে—সে আমার তুলনায় বছর দুয়েক ছোটো। বাহ্যিক দিক দিয়ে আমার থেকে বড়ো লাগে অবশ্য। লাগবে নাই-বা কেন! তার দানবীয় দেহের গড়ন, বাদামী চুল, গালজুড়ে থাকা চাপদাড়ি—সবটাই একজন সুপুরুষের পরিচয় বহন করে। বয়সের হিসাবে বাহ্যিকভাবে আমাকে দেখতে লাগে ছোটো, মাহাদের বেলাতে...
আরো পড়ুন
মাহাদ প্রেমপত্র পাঠিয়েছে, যেটা ছিল আমার কল্পনারও বাহিরে। বয়স বিবেচনা করলে—সে আমার তুলনায় বছর দুয়েক ছোটো। বাহ্যিক দিক দিয়ে আমার থেকে বড়ো লাগে অবশ্য। লাগবে নাই-বা কেন! তার দানবীয় দেহের গড়ন, বাদামী চুল, গালজুড়ে থাকা চাপদাড়ি—সবটাই একজন সুপুরুষের পরিচয় বহন করে। বয়সের হিসাবে বাহ্যিকভাবে আমাকে দেখতে লাগে ছোটো, মাহাদের বেলাতে হয়েছে ঠিক এর উলটো।
সত্যি বলতে, মাহাদের থেকে প্রেমপত্র পাওয়া অপ্রত্যাশিত ছিল। সে আমাকে প্রায়ই চিঠি লিখে। শহর থেকে পরাণপুরের ডাকঘরে মাসে একটি হলেও চিঠি এসে পৌঁছায় আমার নামে। সেই গোছানো চিঠি পড়তে ভালোই লাগত আমার। এজন্যই হয়তো কখনো বারণ করে বলিনি “চিঠি দিও না!” কিন্তু এই বারণ না করার ফল যে, একদিন প্রেমপত্র আকারে আসবে সেটা কে জানত? আবেগে ভেসে যাওয়ার মতো বোকা মাহাদ নয়। তবে এই গম্ভীর, অত্যন্ত ঠান্ডা স্বভাবের পুঁচকে ছেলেটা আমাকে কী ভেবে প্রেমপত্র পাঠালো? ভারী অদ্ভুত তো!
কম দেখান