পরমাণুর মাঝে নিজের অবয়ব দেখতে পারেন একজন প্রকৃত কবি। তিনি যা দেখেন---তা দেখাতে চান তার পাঠককূল’কেও। অন্তরাত্মা দিয়ে দেখা ও দেখানোর যে কক্ষপথ, কবিতা মূলত সেখানে আলো ফেলেই এগোয়।
কবি ফকির ইলিয়াস কবিতা লিখছেন প্রায় সাড়ে চার দশক সময় ধরে। এই কবিতাযাপনের সময়ে তিনি অর্জন করেছেন, নির্মাণের নিজস্ব রীতি ও ব্যাপক...
আরো পড়ুন
পরমাণুর মাঝে নিজের অবয়ব দেখতে পারেন একজন প্রকৃত কবি। তিনি যা দেখেন---তা দেখাতে চান তার পাঠককূল’কেও। অন্তরাত্মা দিয়ে দেখা ও দেখানোর যে কক্ষপথ, কবিতা মূলত সেখানে আলো ফেলেই এগোয়।
কবি ফকির ইলিয়াস কবিতা লিখছেন প্রায় সাড়ে চার দশক সময় ধরে। এই কবিতাযাপনের সময়ে তিনি অর্জন করেছেন, নির্মাণের নিজস্ব রীতি ও ব্যাপক কাব্যাভিজ্ঞতা। তাঁর কবিতা নিয়ে বাংলা ভাষার বিশিষ্ট কবি শহীদ কাদরী লিখেছেন, ‘দশকী বৃত্তের মধ্যে ইলিয়াসকে সীমিত না রেখে, আমি বলতে চাই যে দুই বাংলায় বর্তমানে যে-কবিবৃন্দ অত্যন্ত ফলপ্রসূভাবে কাব্যচর্চা করছেন, ফকির ইলিয়াস তাঁদের অন্যতম। তাঁর রয়েছে একটি নিজস্ব রচনাশৈলী। শব্দের অভাবিতপূর্ব সন্নিপাতনের মাধ্যমে তিনি এমন এক অনবদ্য কাব্যিক আবহ নির্মাণ করেন যাÑকি না, আমার মনে হয়, এই মুহূর্তে আমাদের কাব্যে তুলনারহিত।
তাঁর কবিতায় বারবার ঐতিহ্য শিকড় ও মাটির প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধতা উচ্চারিত হওয়া সত্ত্বেও আন্তর্জাতিকতার ছায়া পড়েছে। ছায়া পড়েছে সমাজ ও রাজনীতির। লক্ষ্য করার বিষয় হচ্ছে সবকিছুর দিকেই তিনি তাকান উদ্বাস্তু বাউলের মতো বিষণ্ন দৃষ্টিতে।’
কম দেখান