শেষ বিকেলের ছায়া

দোস্ত দেখ, পোলাটার কি ফিগার। জুম কর, জুম কর গাধা ব্যাকরণ মিস্টেক, গাঁ বল, নে ভালো দেখ, ফিগারওয়ালা ছাড়া তোরতো আবার হয় না ঢং রাখ, আর একটু কাছে যা তো কোথায়রে তুই? অফিসের ছাদে ফুঁকতে? ধুরও! তামাশা রাখ, জুম করলে ডিফোকাস লাগে... আর একটু কাছে যা ফোন রাখ বলেই কেটে দেয় হেনা। পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট কটেজ, আর চূড়ায়... আরো পড়ুন

দোস্ত দেখ, পোলাটার কি ফিগার। জুম কর, জুম কর গাধা ব্যাকরণ মিস্টেক, গাঁ বল, নে ভালো দেখ, ফিগারওয়ালা ছাড়া তোরতো আবার হয় না ঢং রাখ, আর একটু কাছে যা তো কোথায়রে তুই? অফিসের ছাদে ফুঁকতে? ধুরও! তামাশা রাখ, জুম করলে ডিফোকাস লাগে... আর একটু কাছে যা ফোন রাখ বলেই কেটে দেয় হেনা। পাহাড়ের গায়ে ছোট ছোট কটেজ, আর চূড়ায় বিলাসবহুল একটি বাংলো। নীলাভ জলের সুইমিংপুলে এক যুবক জাগলিং করতে করতে জলকেলিতে মনোযোগী। সেদিকেই মোবাইল তাক করে কথা বলছিল হেনা বান্ধবী শুভ্রার সাথে। শেষ বিকেলের হলদে রোদে ফড়িংগুলো বেপরোয়াভাবেই উড়ছে। যেমন উড়ছে হেমন্তের মৃদু বাতাসে হাসনাহেনার চুলগুলো কানের লতিকা ছুঁয়ে ছুঁয়ে। নিশ্বাসে নিশ্বাসে ফুলের ঘ্রাণের স্বাদ হৃদয়াঙ্গম করে হেনা। ছাতিমগাছে তখন গুটিগুটি মুকুল দেখা যায়। আশপাশ তীব্র ঘ্রাণে মৌ মৌ। সাদা-গোলাপীর শুভ্র বসনে, হাতাকাটা ব্লাউজ, চোখে গাড় কাজল, নাকে নোলক শোভিত হাসনাহেনা চিকন ফিতার গোলাপী চটি আর রূপার নূপুর শোভিত পা দু'খানায় কিন্নরী শব্দে ধীরে ধীরে সুইমিংপুলের পানিতে পা ভেজায়। ছেলেটি ডুব দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ ধরে আছে, তা দেখে হাসনাহেনার যেন দম বন্ধ হবার উপক্রম, সুইমিংপুলের পাশেই কাঁচের দেয়ালের ভেতর কর্পোরেট লোকজন সুকার খেলছে আর তাদের বকবকানি অসহ্য লাগছে তখন ওর। আড় চোখে একবার তাকিয়ে বিড়বিড় করে মনের স্বাদ মিটিয়ে গালাগাল করতে করতে চমকে কম দেখান