চোখের সামনে প্রিয়তমের লাশ পানিতে ভেসে যাচ্ছে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নিয়ে ছোটাছুটি নৌকাতে। সাপ, ব্যাঙ, মুরগি একই ঘরের চালে। ছনের ঘর, পাটখড়ির ঘের সব তছনছ হয়ে গেছে। একটু আশ্রয়ের খোঁজে বিশ্বরোডে ছোট ছোট খুপড়িতে সবাই, কেউ জলের উপর নৌকাতে, খাবারের জন্য অপেক্ষা, ঘরের ভেতর বাঁশের মাচাতেÑ এমন অসংখ্য দৃশ্য। ১৯৮৮ সালের...
আরো পড়ুন
চোখের সামনে প্রিয়তমের লাশ পানিতে ভেসে যাচ্ছে, অন্তঃসত্ত্বা নারীকে নিয়ে ছোটাছুটি নৌকাতে। সাপ, ব্যাঙ, মুরগি একই ঘরের চালে। ছনের ঘর, পাটখড়ির ঘের সব তছনছ হয়ে গেছে। একটু আশ্রয়ের খোঁজে বিশ্বরোডে ছোট ছোট খুপড়িতে সবাই, কেউ জলের উপর নৌকাতে, খাবারের জন্য অপেক্ষা, ঘরের ভেতর বাঁশের মাচাতেÑ এমন অসংখ্য দৃশ্য। ১৯৮৮ সালের বন্যা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম বেদনাদায়ক অধ্যায়।
নব্বই দশক। বাংলাদেশের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় আনন্দময় অধ্যায়। আবহমান সংস্কৃতি, ব্যান্ডসংগীত, সিনেমা, নাটক, যাত্রাপালা, খেলাধুলা, ক্যাসেট প্লেয়ারে গান শোনা, পালকিতে বিয়ে, ঢেকিতে ধান ভানা, আরবি শিখতে মক্তবে যাওয়ার স্মৃতিসহ অসংখ্য গল্প রয়েছে।
গ্রাম ও শহরের দুটি পরিবারকে উপজীব্য করে এবং তার চারপাশের মানুষের গল্প নিয়ে সাজানো হয়েছে উপন্যাসটি। গ্রামের গৃহিনী সুফিয়ার স্বামী ৮৮’র বন্যায় মারা যায়। শুরু হয় তার জীবনপাঠে নতুন অধ্যায়, যেখানে লড়াই সংগ্রামে নিজেকে এগিয়ে নেবার দৃঢ় প্রত্যয়! স্বামীহীন সংসারে দুই কন্যা নিয়ে জীবন। সুফিয়া কি পারে তার গন্তব্যে পৌঁছাতে?
এদিকে শহরের মেয়ে সোহানা ও রাহাতের প্রেম, প্রণয় কিন্তু তারপর?... চিঠির জন্য অপেক্ষা, হৃদয়ের টানে ফোনবিহিন যোগাযোগে সরব উপস্থিতি, বিশ্বাস ও ভরসার সমঝোতা শেষে তারা কি পারে একসাথে জীবনযাপনে?
নব্বই দশক ও বর্তমান সময় নিখুঁত বর্ণনশৈলীতে রূপায়িত হয়েছে এই উপন্যাসে।
কম দেখান