শাহ আবদুল করিম (১৯১৬-২০০৯) বাংলা লোকগানের প্রবাদ-পুরুষে পরিণত হয়েছেন ইতোমধ্যে। তাঁর গান ইদানীং প্রতিটি বাঙালির মুখে মখে। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জন্ম নিয়ে এবং আমৃত্যু জীবনযাপন করে তিনি একান্তভাবে বুুঝেছিলেন গরিব ও নিঃস্ব মানুষের দুঃখ; আগাগোড়া গেয়েছেন দুঃখজয়ের গান। প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যার্জন না করেও তিনি ছিলেন অতীব বিদ্বান। প্রকৃতি থেকে, সমাজের পরিপার্শ্ব...
আরো পড়ুন
শাহ আবদুল করিম (১৯১৬-২০০৯) বাংলা লোকগানের প্রবাদ-পুরুষে পরিণত হয়েছেন ইতোমধ্যে। তাঁর গান ইদানীং প্রতিটি বাঙালির মুখে মখে। চরম দারিদ্র্যের মধ্যে জন্ম নিয়ে এবং আমৃত্যু জীবনযাপন করে তিনি একান্তভাবে বুুঝেছিলেন গরিব ও নিঃস্ব মানুষের দুঃখ; আগাগোড়া গেয়েছেন দুঃখজয়ের গান। প্রাতিষ্ঠানিক বিদ্যার্জন না করেও তিনি ছিলেন অতীব বিদ্বান। প্রকৃতি থেকে, সমাজের পরিপার্শ্ব থেকে জ্ঞান আহরণ করে তিনি হয়েছিলেন জ্ঞানী। তত্ত্বজ্ঞানসমৃদ্ধ গানের মধ্যেও তিনি সাধারণ মানুষের ‘দুঃখ-দুর্দশার ছবি’ এঁকেছেন, ‘বিপন্ন মানুষের দাবি’ তুলে ধরেছেনÑকারণ তিনি সারা দুনিয়ার শান্তি চান, ‘শান্তিবিধান’ তাঁর কাম্য।
এমন একজন মানুষকে নিয়ে সুমনকুমার দাশ পর্যায়ক্রমে গ্রন্থ রচনা এবং সম্পাদনা করে চলেছেন। শাহ আবদুল করিম বিষয়ক এটি তার সপ্তম প্রয়াস। অবশ্য এ বইটির পরে তাঁর করিম-বিষয়ক আরও তিনটি বই প্রকাশিত হয়েছে। করিম তাঁর একটি গানে নিজেকে ‘বাংলা মায়ের ছেলে’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এই গানের শেষে তিনি বলেছেন, ‘জীবন লীলা সাঙ্গ হলে/ শুয়ে থাকব মায়ের কোলে/ তাপ-অনুতাপ ভুলে’। করিম আজ সত্যি সত্যি বাংলা মায়ের কোলে শায়িত। তাঁর জীবন, সৃষ্টি ও দর্শন নিয়ে সুমনকুমার দাশের এই প্রামাণিক গ্রন্থ বাংলা মায়ের ছেলে।
শাহ আবদুল করিমের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত নানা ঘটনা, প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার সঙ্গে তাঁর সংঘাতÑবৈরিতা, প্রকৃতি ও প্রাকৃতজনের সঙ্গে তাঁর সখ্য, তাঁর বাউল জীবন, তাঁর দাম্পত্য জীবন, তাঁর সৃষ্টিÑপ্রতিটি বিষয়ের অনুপুঙ্খ বিবরণ এই গ্রন্থে লেখক সন্নিবেশিত করেছেন।
কম দেখান