ভারতের দ্বিখণ্ডিতা ও বাংলা ভাগ এই উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং তাঁর করুণ মৃত্যুর ভেতর দিয়েই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা পরাধীনতার শেকলে বন্দি হয়ে পড়ে। এই শেকল ছিঁড়তে বহু বিপ্লব সংঘঠিত হয়েছে। বহু তাজা প্রাণের বলি হয়েছে। আমরা যদি ইতিহাসের গভীরে প্রবেশ করি, তাহলে দেখবো, ভারতবর্ষে বিভিন্নভাবে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নানাভাবে...
আরো পড়ুন
ভারতের দ্বিখণ্ডিতা ও বাংলা ভাগ এই উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় ট্রাজেডি।
নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয় এবং তাঁর করুণ মৃত্যুর ভেতর দিয়েই ভারতবর্ষের স্বাধীনতা পরাধীনতার শেকলে বন্দি হয়ে পড়ে। এই শেকল ছিঁড়তে বহু বিপ্লব সংঘঠিত হয়েছে। বহু তাজা প্রাণের বলি হয়েছে। আমরা যদি ইতিহাসের গভীরে প্রবেশ করি, তাহলে দেখবো, ভারতবর্ষে বিভিন্নভাবে নবাব সিরাজউদ্দৌলাকে নানাভাবে স্মরণ করা হয়। অতীতেও হয়েছে। কেন করা হয় এটা একটা প্রশ্ন। তাঁর করুণ মৃত্যুর কারণেই কি তাকে স্মরণ করা হয় বা হয়েছে, যদি তাই হয় তাহলে এরকম করুণ মৃত্যু বা ট্রাজেডিপূর্ণ মৃত্যু তো ভারতবর্ষের ইতিহাসে আরো আছে, তাদের স্মরণ করা হয় কেন। এসবও তো প্রশ্ন হতে পারে। কিন্তু সিরাজউদ্দৌলা-স্মরণের মধ্যে একটা বিশেষত্ব আছে, তা হলো তার ভাগ্যের সঙ্গে ভারতবর্ষের ভাগ্য জড়িত ছিল। সিরাজউদ্দৌলার পতনের সাথে সাথে বাংলা তথা ভারতবর্ষও স্বাধীনতা হারিয়ে ফেলে। নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের পর পরই স্বাধীনতার জন্য বিভিন্ন পর্যায়ে আন্দোলন ও বিপ্লব সংঘটিত হতে থাকে। দেশের জন্য জীবনের বলি উৎসব ঘটতে থাকে। সিরাজউদ্দৌলাকে স্মরণের একটা বড় কারণ এখানেই যে, স্বাধীনতার জন্য ক্রন্দন- স্বাধীনতাকে ফিরে পাবার জন্য উৎসব-স্বাধীনতাকে ফিরে পাবার প্রয়োজন উপলব্ধিকরণ। এটা আশা ও আনন্দের। সিরাজউদ্দৌলাকে স্মরণের এটা একটা বড় কারণ ছিল। স্বাধীনতাকে ফিরে পাবার জন্য এদেশে স্বাধীনতাকামী মানুষেরা বিভিন্ন রকম বিপ্লবী কর্মকাণ্ড গ্রহণ করেছিল। কিন্তু এ প্রশ্নও তো আসতে পারে, ভারত ভাগ হলো- বাংলা ভাগ হলো- এটা তো পরের বিষয়। যখন নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতন হলো- তখন উমিচাঁদ-মীরজাফরের মতো কয়েকটা মানুষের বিশ্বাসঘাতকতায় এতো বড় পরাজয় কিভাবে ঘটে! তখন যদি জাতীয়তাবোধ দেশবাসীর মধ্যে প্রবলভাবে থাকতো, তাহলে কয়েকটা মানুষের চক্রান্তে ভারতবর্ষের এই মহাবিপর্যয় ঘটতো না- নবাব সিরাজউদ্দৌলারও ট্রাজিক পরিণতি ঘটতো না- স্বাধীনতার সূর্য অস্ত যেতো না। দেশবাসী জাতীয়তা-বিরোধী চক্রান্তকারীদের উপযুক্ত শান্তি দেয়ার জন্য বন্ধ-
পরিকর হয়নি। এর কারণও পরিষ্কার- জাতীয়তাবোধের অভাব।
কম দেখান