‘রম্যকথার এক ঝাঁপি’ প্রথাসিদ্ধ অর্থে রম্যরচনার বই নয়। এর নাম যদি হতো- ‘অরম্যকথার এক ঝাঁপি’, হতে পারতো। যদি হতো, ‘রম্যারম্য কথকতা’, তাও হতে পারতো।
বইয়ের দু’মলাটের ভেতরে বাঁধা লেখাগুলো রম্যমোড়কে ঠাসা হলেও তাতে কৌতুকের পাশাপাশি কোন না কোন বারতা আছে। শ্লেষ ও ব্যঙ্গবিদ্রুপ অনেকগুলো লেখায় প্রশ্রয় পেয়েছে। পাঠককে...
আরো পড়ুন
‘রম্যকথার এক ঝাঁপি’ প্রথাসিদ্ধ অর্থে রম্যরচনার বই নয়। এর নাম যদি হতো- ‘অরম্যকথার এক ঝাঁপি’, হতে পারতো। যদি হতো, ‘রম্যারম্য কথকতা’, তাও হতে পারতো।
বইয়ের দু’মলাটের ভেতরে বাঁধা লেখাগুলো রম্যমোড়কে ঠাসা হলেও তাতে কৌতুকের পাশাপাশি কোন না কোন বারতা আছে। শ্লেষ ও ব্যঙ্গবিদ্রুপ অনেকগুলো লেখায় প্রশ্রয় পেয়েছে। পাঠককে তাদের লঘু ধমনীতে নিয়ে গিয়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু ‘সংবাদ’ পরিবেশনার চেষ্টা হয়েছে। এর উপকরণ ও উপস্থাপনপ্রকরণ এক রকম নয়। ‘ম্যাটার’ সিরিয়াস হলেও অনেক সময় ‘ম্যানার’কে তার বিপরীত রাখার চেষ্টা হয়েছে।
সব ক’টি লেখাই মূলত ঢাকার বিভিন্ন কাগজ-এ প্রকাশিত। এর কিছু দিয়েছে লেখক সমান্তর জনার শংসা; আবার, যারা মানুষকে সর্বপ্রারম্ভিক ও সর্বপ্রান্তিক বিচারে মানুষ ভাবে না এবং মহান মুক্তিযুদ্ধকে জাতির সর্বগৌরবের বিষয় বিবেচনা করে না- তাদের মধ্যে তৈরী করেছে এক ধরনের সংশয়বিদ্ধ ও বিপ্রতীপ পর্যবেক্ষণ। থাক, তাতে কিছু যায় আসে না। পাখির গান পাখি গাইবে।
কম দেখান