শিক্ষা, শিক্ষকতা ও গবেষণায় সাফল্যের পর এক ধরনের দায়বোধ থেকেই অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান ফারুক-এর ধর্ম নিয়ে গবেষণা, লেখালেখির শুরু। তারই ঋদ্ধ ফসল ‘কোরআন ও নারী: নারীকেন্দ্রিক কোরআনিক চেতনার স্বরূপ’। কোরআনিক বাণী কেবল নারীপুরুষের সমতাই বিধান করেছে তাই-ই নয়, কোরআন বরং নারীকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা ও সম্মান প্রদান...
আরো পড়ুন
শিক্ষা, শিক্ষকতা ও গবেষণায় সাফল্যের পর এক ধরনের দায়বোধ থেকেই অধ্যাপক ড. আনিসুর রহমান ফারুক-এর ধর্ম নিয়ে গবেষণা, লেখালেখির শুরু। তারই ঋদ্ধ ফসল ‘কোরআন ও নারী: নারীকেন্দ্রিক কোরআনিক চেতনার স্বরূপ’। কোরআনিক বাণী কেবল নারীপুরুষের সমতাই বিধান করেছে তাই-ই নয়, কোরআন বরং নারীকে কোনো কোনো ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সুবিধা ও সম্মান প্রদান করেছে। নারী পুরুষের চেয়ে বহুমাত্রায় শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে স্থিতিশীল ও শক্তিশালী।
আর তাই কোরআন নারীকে সরাসরি বিবাহবিচ্ছেদের উদ্যোগ নিতে অনুমোদন দিয়েছে, অথচ পুরুষের ক্ষেত্রে বিবাহবিচ্ছেদে যেতে অনেকগুলো ধাপ পেরোনোর বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কোরআনই নারীকে স্বাধীন মত ও অনুভ‚তিপ্রকাশের অধিকার দিয়েছে; নারীর ওপর বঞ্চনাময় সামাজিক কুসংস্কার ও প্রথাবিলোপে কোরআন নিজেই উচ্চকন্ঠ ও পথিকৃৎ। কোরআনই নারীকে সামাজিক কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের অনুমোদন ও উৎসাহ দেয়।
নারীর অন্তর্ভুক্তিমূলক কোরআনিক আয়াতের পুনঃপঠন ও পাঠোদ্ধার লিঙ্গসমতার কোরআনিক দৃষ্টিভঙ্গিকেই নির্দেশ করে। লেখক দেখিয়েছেন, কোরআনিক আয়াতের পুরুষতান্ত্রিক ব্যাখ্যার পাশাপাশি এর নারীকেন্দ্রিক ব্যাখ্যাও সম্ভব; বরং তা আরও বেশি গ্রহণযোগ্য ও বাস্তবসম্মত। এ বই পাঠে নারীত্বের নতুন আলোয়, নতুন অনুভ‚তিতে পাঠক কোরআআনিক দৃষ্টিভঙ্গিকে আবিষ্কার করবেন। সামগ্রিকভাবে, তাই এই বইয়ের বিষয়বস্তু ইসলামে নারীর অস্তিত্ব, গুরুত্ব ও অবস্থান সম্পর্কে সবাইকে নতুন করে ভাবাবে।
কম দেখান