প্রায় পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে ফওজিয়া আলি তাদের দুজনকে চেনে। তারা নূর মোহাম্মদ ও হাবিবা খাতুন। দুজনে এখন ফুটপাথের ঝুপড়িতে থাকে। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় ওদের মাথার উপর দিয়ে যায়। কখনও ঘরের ছাউনি উড়ে যায়। কখনও ভেঙে পড়ে। মাঝেমধ্যে পুলিশ এসে তছনছ করে। বলে, ফুটপাথ দখল করা যাবে না। ওরা চুপচাপ দাঁড়িয়ে...
আরো পড়ুন
প্রায় পনেরো বছরের বেশি সময় ধরে ফওজিয়া আলি তাদের দুজনকে চেনে। তারা নূর মোহাম্মদ ও হাবিবা খাতুন। দুজনে এখন ফুটপাথের ঝুপড়িতে থাকে। রোদ-বৃষ্টি-ঝড় ওদের মাথার উপর দিয়ে যায়। কখনও ঘরের ছাউনি উড়ে যায়। কখনও ভেঙে পড়ে। মাঝেমধ্যে পুলিশ এসে তছনছ করে। বলে, ফুটপাথ দখল করা যাবে না। ওরা চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। দখল করা যাবে না তো ওরাও জানে। শুধু জানে না কোথায় যাবে। কোথায় গেলে মাথার উপর ঠাঁই মিলবে!
এই দুজন মানুষ ফওজিয়ার অভিজ্ঞতায় এক দুরন্ত সঞ্চয়। জীবনের ছাপ্পান্ন বছর পার হয়ে গেছে ওর। কিন্তু সঞ্চয়ের হিসাবে একটুও গরমিল হয়নি। বুড়োবুড়ির মুখের দিকে তাকালে ফওজিয়া আলি নিজের ভেতরে ওলটপালট অনুভব করে। এই সঞ্চয়ের দুরন্তপনা ওকে তাড়িয়ে নিয়ে বেড়ায়।
কম দেখান