প্রথম প্রথম প্রীতম হােস্টেলেই আসতাে। সামনের টি-স্টলে বসে দীর্ঘসময় গল্প করতাে। পরে অফিসেই আসতে শুরু করে নিয়মিত। প্রতিদিন। অফিস শেষে একসাথে ফিরি আমরা। সরাসরি বাসায় গিয়ে কী কাজ? বসে পড়ি নির্জন রেস্তোরাঁয়। কখনও কখনও রাতের খাবারও খেয়ে ফিরি একসাথে। শুরু হয় এক অসীম আনন্দময় জীবন। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ জীবন। হােস্টেল...
আরো পড়ুন
প্রথম প্রথম প্রীতম হােস্টেলেই আসতাে। সামনের টি-স্টলে বসে দীর্ঘসময় গল্প করতাে। পরে অফিসেই আসতে শুরু করে নিয়মিত। প্রতিদিন। অফিস শেষে একসাথে ফিরি আমরা। সরাসরি বাসায় গিয়ে কী কাজ? বসে পড়ি নির্জন রেস্তোরাঁয়। কখনও কখনও রাতের খাবারও খেয়ে ফিরি একসাথে। শুরু হয় এক অসীম আনন্দময় জীবন। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ জীবন। হােস্টেল কর্তৃপক্ষ আপত্তি জানায়। হােস্টেলছাত্রীদের সব করা যায়। শুধু রাত করা যায় না।
প্রীতম বসে বসে হিসাব করলাে। যাতায়াত, থাকা-খাওয়া, আর সার্ভিস চার্জ। সবসমেত যা আসে, তা দিয়ে অনায়াসে থাকা চলে যে কোনাে ছােট ফ্ল্যাটে। অফিসের পাশেই বনশ্রী কিংবা আফতাব নগর। রুমমেটদের ক্যাচক্যাচানি নেই। মালিক বা হােস্টেল সুপার নামের উৎকটা যন্ত্রণা নেই। খাবার নামের অখাদ্য-কুখাদ্য নেই। বরঞ্চ খােলামেলা পরিবেশ। স্বাধীন জীবন। আমি সানন্দে রাজি হলাম...
কম দেখান