ড.নাঈমা খানমের ভ্রমণ কাহিনি 'ঐতিহ্য আর আধুনিকতার লন্ডন'। পাণ্ডুলিপিটি পড়বার সুযোগ হয়েছে আমার। পড়ে আমি বেশ চমৎকৃত হয়েছি।
ভ্রমণ কাহিনির ভাষা, বর্ণনা এবং ঘটনা পরম্পরা আমাকে আনন্দ দিয়েছে। বইটির ভাষা সাবলীল, বর্ণনা গতিশীল এবং উপস্থাপনা আধুনিক। ভ্রমণগদ্য হলেও এটি অনেকটা ভ্রমণগল্প হয়ে উঠেছে। শুধু দেখা বিষয়ের বর্ণনা এটি নয়। বরং দেখার...
আরো পড়ুন
ড.নাঈমা খানমের ভ্রমণ কাহিনি 'ঐতিহ্য আর আধুনিকতার লন্ডন'। পাণ্ডুলিপিটি পড়বার সুযোগ হয়েছে আমার। পড়ে আমি বেশ চমৎকৃত হয়েছি।
ভ্রমণ কাহিনির ভাষা, বর্ণনা এবং ঘটনা পরম্পরা আমাকে আনন্দ দিয়েছে। বইটির ভাষা সাবলীল, বর্ণনা গতিশীল এবং উপস্থাপনা আধুনিক। ভ্রমণগদ্য হলেও এটি অনেকটা ভ্রমণগল্প হয়ে উঠেছে। শুধু দেখা বিষয়ের বর্ণনা এটি নয়। বরং দেখার অধিক কিছু ভাষা পেয়েছে এখানে। নাঈমা খানমের দেখার একটি অন্যরকম চোখ আছে। গভীর দৃষ্টি আছে। বইটি পাঠ করলেই এর একটি সাক্ষ্য মেলে। বড় জিনিসকে বড় করে দেখানো সকলের কাজ। কিন্তু ক্ষুদ্র জিনিসকে বৃহৎ করে দেখানোর চোখ সবার থাকে না। নাঈমা খানম সেই দৃষ্টির অধিকারী। বাহ্যিক বর্ণনার সাথে ইতিহাস যোগ হলে পরিপূর্ণতা পায় ভ্রমণগদ্য। এদিক থেকেও নাঈমা খানমের ভ্রমণকাহিনি পূর্ণতা পেয়েছে। হ্যাঁ ইতিহাস খটখটে, রুক্ষ, পাঠক ইতিহাসে ঢুকতে চায় না সহজে। কিন্তু নাঈমা খানমের ভ্রমণগদ্যে ইতিহাস উঠে এসেছে গল্পের আনন্দ নিয়ে। ফলে এখানে ইতিহাস আর ইতিহাস থাকেনি। ভ্রমণগদ্যে মিশে ইতিহাসও হয়ে উঠেছে ভ্রমণের অংশ। এর মানে হলো- পড়ে পাঠক ক্লান্ত হবেন না। আনন্দের সাথে পড়ার উপযোগী হওয়াটাই বড় আনন্দের! আমি নাঈমা খানমের ভ্রমণবইটির সাফল্য কামনা করছি।
কম দেখান